২৭ বছর ধরে তিন গ্রামের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো!

এম.আর রিয়াদ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:০৭

খুব সরু বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তিন গ্রামের কয়েক হাজার নারী, পুরুষ, শিশু ও স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এভাবেই চলাচল করছে এখানকার অবহেলিত গ্রামবাসী ও অন্য পথচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাতিয়া তমরদ্দি-কোরালিয়া জোড়খালী সংযোগ সড়কের উপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে যায়। পরে স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সাময়িক পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। সেই সাময়িক ব্যবস্থাটি দীর্ঘ ২৭ বছরেও শেষ হয়নি।

অবশ্য ২০০৪-৫ অর্থবছরে এলজিইডি ১০০ ফুট দৈর্ঘে্যর ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু করে।

কাজ চলাকালে ফাইলিংয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার কাজ ফেলে পালিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ব্রিজ নির্মাণের আর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

ব্রিজ সংলগ্ন বসবাসকারী আবুল কালাম ঢাকাটাইমসকে জানান, বর্ষায় জোয়ারের পানি বাড়লে সাঁকোটি ডুবে যায়, তখন এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে উঠে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ফররুখ আহাম্মদ অনতিবিলম্বে এ সাঁকোর পরিবর্তে একটি স্লুইজ গেইট নির্মাণের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তপন চন্দ্র দেবনাথ ২০০৪-৫ অর্থবছরে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রিজের কোনো তথ্য দিতে পারেননি। ব্রিজ বা স্লইজ গেইট নির্মাণের সম্ভ্যাবতা যাচাই করবেন বলে জানান তিনি।

জোড়খালী, কোরালিয়া, মাইজচরা গ্রামের নারী পুরুষের পাশাপাশি তমরদ্দি উচ্চ বিদ্যালয়, সিনিয়র মাদ্রাসা, আজহারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপারের একমাত্র পথ এ বাঁশের সাঁকো। আমাবশ্যা ও পুর্ণিমার জোয়ারে খরস্রোতো কাটাখালী খালের কম্পমান সাঁকোর নিয়ে যেন বয়ে যায় দৈত্যের নৃত্য। চরম ঝুঁকিতে নিরূপায় হন পথচারীরা। অন্যদিকে স্লুইজ গেইট না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারের লোনা পানি প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :