আতপ চালে অনীহা ফরিদপুরের ক্রেতাদের

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৫৩

ফরিদপুরের সদরপুরে গুদামে অতিরিক্ত চাল মজুদ রাখার দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকায় এক চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে সরকারের হতদরিদ্রদের জন্য খোলা বাজারের চাল বিক্রি শুরু করলেও আতপ চালের কারণে সেখানে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাড়ে সাতরশি বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা রহমান জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাড়ে সাতরশি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এইসময় ওই বাজারের চাল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন খাঁন (৫০) এর গুদামে অতিরিক্ত চাল মজুদ রাখায় দায়ে তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি জানান, গুদাম মালিকের লাইসেন্স না থাকায় ও অতিরিক্ত চাল মজুদ করায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬-এ জরিমানা দায়ের করা হয়।

এদিকে সোমবার সকাল থেকে ১০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলা শহরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু ফরিদপুরে সরকারি ওএমএস এর এ চাল নিয়ে হতাশ ক্রেতারা। হতদরিদ্রদের ভোগান্তি কমাতে সরকারের দেয়া এসব চাল এখন কিনতে চাচ্ছে না জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

ফরিদপুরের খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সোমবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি শুরু হয়েছে। শহরের হেলিপ্যাড বাজার, চক বাজার, অম্বিকাপুর বাজার, টেপাখোলা বাজার ও চুনাখাটা বাজারে প্রতি কেজি ৩০ টাকা হারে জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। মোট ১২০ টন চাল আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে তাদের কার্যক্রম।

খোলা বাজারে প্রথম দিনে উত্তোলিত ৫০০০ কেজি চালের মধ্যে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪৬৫ কেজি।

শহরের লক্ষীপুর এলাকার দরিদ্র রিকশা চালক হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা সেদ্ধ চাল খেয়ে পছন্দ করি। জন্মলগ্ন থেকেই এ ধরনের চালের ভাত খেয়ে আসছি। কিন্তু আতপ চাল খেতে পারি না, সরকার আমাগো জন্য এই আতপ চাল দিলো কেন। যারা আতপ চাল খায় তাদের ওই চাল দিক।

ফরিদপুরের খাদ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত জেলা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র দত্ত জানান, এ অঞ্চলের মানুষ সিদ্ধ চালের ভাত খেয়ে অভ্যস্ত। তারা আতপ চাল খেতে পারে না। ফলে আমাদের গোডাউনের চাল যদি পূর্বাঞ্চলে পাঠানো হয় হলে তাদের উপকার হবে। সেখানে আতপ চালের চাহিদা রয়েছে। আর এখানে আতপ চাল কেউ কেউ কিনে তারা আবার বাজারে বিক্রি করে সিদ্ধ চাল নিচ্ছে। এতে সরকার হতদরিদ্রদের দারিদ্র্য ঘোচাতে যে উদ্যোগ নিয়ে সেটা বিফলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এবিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, খোলা বাজারের চাল বিক্রয়ে প্রথম দিনই আতপ চাল নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি খাদ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, আজ বা কালের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সমস্যার বিষয় নিয়ে লিখিতভাবে জানানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :