কিশোরগঞ্জের প্রশাসনে নারীর আধিপত্য

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ থেকে
 | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:০৪

কিশোরগঞ্জের প্রশাসন চালাচ্ছেন এখন নারীরা। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে আটটির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্বে আছেন নারী। এ ছাড়া আটটি উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদেও অধিষ্ঠিত তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আট নারী হলেন করিমগঞ্জে মাহমুদা, তাড়াইলে সুলতানা আক্তার, মিঠামইনে তাসলিমা আহমেদ পলি, ভৈরবে দিলরুবা আহমেদ, কুলিয়ারচরে ড. উর্মি বিনতে সালাম, পাকুন্দিয়ায় অন্নপূর্ণা দেবনাথ, কটিয়াদীতে ইসরাত জাহান কেয়া এবং বাজিতপুরে সোহানা নাসরিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নিজের এলাকা মিঠামইন উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসলিমা আহমেদ পলি। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি এই পদে যোগ দেন। যোগদানের পরপরই হাওরে আগাম বন্যায় ফসলহানির ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতি তিনি সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করেন। নৌকায় ছুটে যান কৃষকের কাছে। সাহসিকতার সঙ্গে সামাল দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতিসহ ভিভিআইপিদের সফরের নানা কর্মসূচিও।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমানের নির্বাচনী এলাকার একটি উপজেলা কুলিয়ারচর। বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় ক্লাসের আয়োজন করে আলোচনায় আসেন কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. উর্মি বিনতে সালাম। মেধা আর উদ্ভাবনী প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য তিনি এবার ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হন।

২০১৫ সালের ১২ আগস্ট তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন সুলতানা আক্তার। এখন পর্যন্ত তিনি সুনামের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচিত প্রতিনিধি আর এলাকাবাসীর কাছে তিনি একজন মিষ্টভাষি আর কর্মচঞ্চল কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত।

করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কাজে যোগ দিয়েছেন চলতি বছরের ২১ মার্চ। তার আগেও এখানে একজন নারী ইউএনও কর্মরত ছিলেন। কাজে ও নিষ্ঠায় তিনিও এগিয়ে রয়েছেন।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অন্নপূর্ণা দেবনাথ যোগদান করেন এ বছরের ১৩ এপ্রিল। নিষ্ঠার সঙ্গে দিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি তাড়াইলে সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর তিনি নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব হাতে নেন।

এদিকে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান কেয়া গত ২১ সেপ্টেম্বর কাজে যোগ দেন।

কিশোরগঞ্জে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন আট নারী কর্মকর্তা। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরীন চৌধুরী, বাজিতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তসলিমা নূর হোসেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিগ্ধা তালুকদার, সহকারী কমিশনার (শিক্ষানবিশ) শামীমা ইয়াসমীন, ফারহানা আলী, রেহেনা তাবান্নুম, মোছা. আকলিমা ও সাগুপ্তা হক।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামিল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নারীরা এখন সবদিক দিয়ে এগিয়ে চলছে। কিশোরগঞ্জের নারীবান্ধব প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে।’

এই কর্মকর্তা জানান, জেলার যেসব পদে নারীরা কর্মরত তারা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজে ঊর্ধ্বতন প্রশাসন খুশি।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রশাসন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :