বুলবুলের আবিষ্কার এবার ‘থ্রি হুইল বাইক’

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১০:০৪

নিত্যনতুন কিছু আবিষ্কার করাই তার নেশা। নতুন কিছু করে দেখানো তার ধ্যান-ধারণা। তিনি তরুণ আবিষ্কারক এনামুল হক বুলবুল। যার জুড়িতে ইতোমধ্যে যোগ হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় সেরা তরুণ উদ্ভাবকের পুরস্কার। হ্যাঁ, তরুণ এ উদ্ভাবক নিত্য নতুন কিছু আবিষ্কার করে কুড়াচ্ছেন বাহবা, হচ্ছেন খবরের শিরোনাম। প্রশংসা কুড়োচ্ছেন সব মহলের।

তরুণ উদ্ভাবক এনামুল হক বুলবুল। কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌরসদরে তার বাড়ি। ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু করে দেখানোর পেছনে ছুটছেন নিরন্তন।

ইতোমধ্যে তিনি সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলের অটোবাইক, এমবআিই সোলার কার (চার চাকার যান) ও দুই চাকার মোটরবাইক তৈরি করে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা তরুণ উদ্ভাবকের পুরস্কার অর্জন করেছেন। সবশেষ তিনি সৌর বিদ্যুতের প্যানেল দ্বারা ‘থ্রি হুইল বাইক’ আবিষ্কার করে আবারও খবরের শিরোনাম হয়েছেন।

তরুণ উদ্ভাবক এনামুল হক বুলবুল ঢাকাটাইমসকে জানান, বয়স্ক-প্রবীণ ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কথা চিন্তে করেই ‘থ্রি হুইল বাইক’ তৈরি করা হয়েছে। শব্দহীন ও পরিবেশবান্ধব সৌর প্যানেল দ্বারা তৈরিকৃত এ বাইকটি দিয়ে বয়স্ক ব্যক্তিরা তাদের দৈনন্দিন চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্য আনার পাশাপাশি সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে পারবেন। সৌর বিদ্যুতের প্যানেল দ্বারা তৈরি হওয়ায় সূর্যের আলোতে এটি ব্যবহারের সময় চার্জের প্রয়োজন পড়বে না। তবে বৈরী আবহাওয়া থাকলে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ করার ব্যবস্থা রয়েছে। ফুল চার্জে এ বাইকটি ৬০-৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। প্রতি ঘণ্টায় এ বাইকটি গতি প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার। এ বাইক ব্যবহারের ফলে বাড়িতে বাড়তি সৌর বিদ্যু লাগানোর প্রয়োজন পড়বে না। কেননা, এ বাইকের প্যানেল সংযোগের মাধ্যমে একটি বাড়ির চারটি লাইট, একটি ফ্যান ও মোবাইল চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে ল্যাপটপ চালুকরণেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রতিটি বাইক তৈরি করতে তিনটি চাকা (সামনে একটি পেছনে দুইটি), একটি চেয়ার, ৩০ ওয়াটের দুইটি প্যানেল, ১২ ভোল্টের দুইটি ব্যাটারি, ২৪ ভোল্টের একটি মটর, হেডলাইট, ইনডিকেটর চারটি, হর্ন ইত্যাদি লাগবে। অর্থাৎ, পূর্ণাঙ্গ একটি থ্রি হুইল বাইক তৈরি করতে ২৫-২৮ হাজার টাকা খরচ লাগবে।

এনামুল হক বুলবুল আরও জানান, পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা এ বাইকটি ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। লোকজন বাইকটি ব্যবহারে আগ্রহী প্রকাশ করছেন। এছাড়াও যার নজড়ে পড়ছে সেই বাইকটি দেখে কেনার কথা বলছেন।

তরুণ এ উদ্ভাবক বলেন, ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু উদ্ভাবনের জন্য বিভোর ছিলেন। তাঁর এসব উদ্ভাবনে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট পেয়েছেন সরকারি চাকুরে মায়ের। তাঁর বাবা এমদাদুল হক জসিম অবসরপ্রাপ্ত এনজিও কর্মী। মা সুফিয়া খাতুন পরিবার কল্যাণ সহকারী। মা সুফিয়া খাতুনের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতার কারণেই তিনি নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করছেন। সরকারিভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবকের পুরস্কারের সাফল্য অর্জন করেছেন। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তরুণ এ উদ্ভাবক।

(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :