স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় আশিকুর
আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে লেখাপড়া কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অদম্য মেধাবী আশিকুরের। চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে এ-প্লাস পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করলেও স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
দিনমজুর পরিবারে জন্ম নেয়া আশিকুর রহমান রুবেলের স্বপ্ন কি থেমে যাবে অর্থাভাবে!
আশিকুর জেলার উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পান্ডুল গ্রামের দিনমজুর শহিদুর রহমানের ছেলে। দুই শতক জমিই পরিবারটির সম্বল। তাতে দুটি টিনের ছাপড়া তুলে বিধবা মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে আশিকুরের বাবা শহিদুরের সংসার।
কাকডাকা ভোরে ছুটে চলা নিরন্তন সংগ্রামী এ দিনমজুর স্বপ্ন দেখেন ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে অনেক বড় করবেন। কিন্তু আজ যেন সব স্বপ্নই থেমে যেতে বসেছে। পারবো কি ছেলেকে উচ্চ শিক্ষিত করতে? বলেই অঝোরে কেঁদে উঠেন। তার ছলছল চোখের দিকে তাকিয়ে উপস্থিত সবাই অশ্রুসিক্ত হন। কিন্তু কেউ কি এগিয়ে আসবে দিনমজুর পরিবারে জন্ম নেয়া মেধাবী আশিকুরের জন্য। কেউ এগিয়ে এলে হয়তো পূরণ হবে দিনমজুর বাবা শহিদুরের স্বপ্ন। আর উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে আশিকুরের। আশিকুর রহমান রুবেল ২০১৫ সালে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৪.৭৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। তারপর পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজ থেকে চলতি বছর মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে সবাইকে চমকে দেয়।
দিনমজুর শহিদুর ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পরিবার ও রুবেলের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে আমি অক্ষম হয়ে পড়েছি।’ তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে বলেন, আমার ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যেন অর্থাভাবে নষ্ট না হয়ে যায়।
(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)