ঝুলন্ত পার্লামেন্টের পথে ইতালি, আতঙ্কে অভিবাসীরা

কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান
| আপডেট : ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৮:৩৮ | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৫:৫৭

এবারের সাধারণ নির্বাচনে কোন দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে যাচ্ছে ইতালি। নির্বাচনে বেশিরশতাংশ ভোট পড়েছে ডানপন্থীদের ঝুলিতে৷

ক্ষমতাসীন মধ্য-বামপন্থী দল তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। অসাধারণ সাফল্য দেখিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফাইভ স্টার মুভমেন্ট (এককভাবে প্রথম)।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনির ডানপন্থী জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবে বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে কে হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। সিলভিও বারলুসকোনির জোট জয় পেয়ে গেলেও কর কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত ৮১ বছরের বারলুসকোনি আগামী বছরের আগে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারবেন না৷

প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বারলুসকোনির দল 'ফোরসা ইতালিয়া কট্টর ডানপন্থী দল লেগা নর্দ এবং ব্রাদার্স অব ইতালি ও ইউডিসি' এই চার দলের জোট পেয়েছে ৩৭.০৩ শতাংশ ভোট৷ দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কট্টর বামপন্থী ফাইভ স্টার মুভমেন্ট বা এমফাইভএস পেয়েছে ৩২.৬৬ শতাংশ ভোট৷ ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জোট পেয়েছে ২২.৮২ শতাংশ ভোট৷ ডানপন্থী জোটের মাত্তেও সালভিনি'র অ্যান্টি-ইমিগ্র্যান্ট লেগা নর্দ পেয়েছে ১৭.৩৭ শতাংশ ভোট৷ বারলুসকোনির দল 'ফোরসা ইতালিয়া' একা পেয়েছে ১৪.০১ শতাংশ ভোট৷

নির্বাচন পরবর্তী বক্তব্যে ডানপন্থী জোট নেতা লেগা নর্দের সাধারণ সম্পাদক মাত্তেও সালভিনি বলেন, আমাদের জোট সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। অবৈধ অভিবাসী কমাতে কঠিন ব্যবস্থা আরোপের পক্ষে তিনি আবারও মত প্রকাশ করেন।

ফাইভ স্টার মুভমেন্টের নেতা লুইজি ডি মাইও তার দলকে ভোট দেয়ায় ইতালির সাধারণ ভোটারদের ধন্যবাদ জানান এবং প্রেসিডেন্ট চাইলে তার দল সরকার গঠন করতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।

লুইজি ডি মাইও নির্বাচনের আগেই তিনি তার মন্ত্রী সভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এবং জনসন্মুখে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন।

ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি নির্বাচনে দলের পরাজয়ের দায় স্বীকার করে বলেন, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলে তিনি তার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।

যদিও বারলুসকোনির জোট এগিয়ে আছে, কিন্তু সরকার গঠনের জন্য যে পরিমাণ ভোট দরকার, তা নেই তাদের৷ সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৪০ শতাংশ ভোট৷ চূড়ান্ত ফলাফল যদি ঝুলন্ত পার্লামেন্টের আভাস দেয়, তবে প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেল্লা পরবর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন৷ ২০১৩ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল, তৎকালীন প্রেসিডেন্টকে সরকার গঠনের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল৷

বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রেসিডেন্ট মাতারেল্লা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেন্টিলোনিকে তার দল মধ্য-বামপন্থী পিডি'র নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে বলবেন৷ সে ক্ষেত্রে পাওলো জেন্টিলোনি সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনির ডানপন্থী জোটকে কিংবা ফাইভ স্টার মুভমেন্টের নেতা লুইজি ডি মাইওকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। কে হবেন ইতালির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ২৩ মার্চ নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল আগের চেয়ে অনেক কম। যেখানে ২০১৩ সালে ভোট পড়েছিল ৭৫ শতাংশ, সেখানে গতকাল ভোট পড়েছে মাত্র ৫৮ শতাংশ।

(ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/একে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

ট্রাম্পের বিচার হবে কি না? প্রশ্নে বিভক্ত মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর ৯ মাসের জেল

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের নতুন প্রস্তাব ইসরায়েলের

তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৫৫ 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট চলছে

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু কেন?

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :