১১ বছরেও বিচার হয়নি নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মাহবুব হত্যার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র মাহবুবুর রহমান ভূঞা হত্যার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সুষ্ঠু বিচার পায়নি তার পরিবার।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী জামিল আহমেদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ আগস্ট বাস ভাড়া নিয়ে নোয়খালীর সোনাপুরে স্থানীয় লোকাল বাস কন্ট্রাক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাস মালিক-শ্রমিক সমিতি ওই দুজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এবং কিছু শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাহবুবুরকে কুপিয়ে হত্যা করে বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির সদস্যরা।
তার বড় ভাই মাহমুদুর রহমান ভূঞা বলেন, তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবুল খায়ের এবং প্রক্টর আনিস মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঘটনার পরপর সুধারাম থানায় (নোয়াখালী সদর) মামলা করেন। হত্যার দুই বছর পর উপাচার্যের বদলি ও প্রক্টর শিক্ষা ছুটিতে চলে যাওয়ায় এবং নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুল হক চৌধুরী নিয়োগের পরপরই মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেয়া হলেও হত্যার
এগারো বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও বিচার কাজ সম্পন্ন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে চাকরির প্রতিশ্রুতি ও আমার ভাই মাহবুবুরের নামে একটি হলের নামকরণ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।
এগুলো বাস্তবায়নের জন্য তিনি বর্তমান উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামানের সাহায্য কামনা করেন।
এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. মমিনুল হক জানান, নিহতের পরিবারের একজনকে তখন চাকরি প্রদানের মৌখিক আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। এর কোন লিখিত ডকুমেন্ট না থাকায় এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন কিছু করতে পারছে না।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মামলার কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। পরবর্তীতে মামলা চালু হবে কিনা তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, মাহবুবুর রহমান ভূঞার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত সিদ্দিকুর রহমান ভূঞা।
(ঢাকাটাইমস/৮আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)