যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী নির্যাতনের মামলা এসআইয়ের বিরুদ্ধে

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জুন ২০১৭, ১৭:১৫| আপডেট : ০৬ জুন ২০১৭, ১৭:৩৭
অ- অ+

শেরপুরে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আশরাফুন্নাহার লোপা যেন বিষয়টি জানাতে না পারেন, সে জন্য তাকে ঢাকার তালাবদ্ধ করে রাখা হতো বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে লোপাকে ঢাকার বাসা থেকে উদ্ধার করে শেরপুর নিয়ে যান স্বজনরা। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে শেরপুর সদর হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন লোপা।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মোবারক হোসেন জানিয়েছেন, নির্যাতনে লোপা ডান চোখ, কোমর, গলা, পিঠে ও পায়ে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার লোপার মা সেলিনা আক্তার লাকী বাদী হয়ে তার জামাতা শাহিনুল ইসলামসহ ছয় জনের নামে শেরপুরের শ্রীবরদী থানায় নির্যাতনের মামলা করেছেন।

শেরপুর সদরের দমদমা মহল্লার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের মেয়ে লোপার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল এসআই শাহিনুলের। বিয়ের পর থেকেই তিনি যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে চাপ দিতেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন তিনি।

লোপা ঢাকাটাইমসকে জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শাহিনুল যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। কয়েক মাস আগে শাহীন র‌্যাব থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা শাখায় যোগ দেন। ২০ মে তিনি চার দিনের ছুটিতে এসে তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান এবং ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু লোপা যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় ২২ মে রাতে শাহিনুল তার ওপর নির্যাতন চালান। এতে লোপা গুরুতর আহত হন।

ঘটনা শুনে লোপার মা-বাবা তার শ্বশুর বাড়িতে গেলে শাহিনুল তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তির কথা বলে ঢাকার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে ফের যৌতুকের দাবিতে লোপার ওপর নির্যাতন চালান।

লোপা আরও জানান, শাহিনুল বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তাকে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে যেতেন। গত ৩ জুন সকালে শাহিনুল ভুল করে তার মোবাইল ফোন বাসায় রেখে যান। এ সুযোগে লোপা তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা জানান। পরে পরিবারের লোকজন ঢাকায় গিয়ে খিলগাঁও থানা পুলিশের সহায়তায় মধ্যরাতে লোপাকে উদ্ধার করেন। গত রোববার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

লোপার মা অভিযোগ করেন, এর আগেও দুবার শাহিনুল তার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন। পরে মাফ চাওয়ায় এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তারা শাহিনুলকে ছাড় দিয়েছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে এসআই শাহিনুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলা প্রসঙ্গে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আলম বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/০৬জুন/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শাহরুখ খানের পছন্দের খাবার যেভাবে খেলে বশে থাকবে ওজন, জানালেন নিজেই
মঙ্গল গ্রহে প্রাণ নেই কেন? নাসার নতুন গবেষণায় মিলল চমকপ্রদ তথ্য
ভেষজ পেয়ারা ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মোক্ষম দাওয়াই
বান্দরবানের রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ দুইজন নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা