ময়মনসিংহে কোরবানির মাংস যাচ্ছে দুই হাজার বাড়িতে

মনোনেশ দাস, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:০৯ | প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৩৯

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সামাজিক কোরবানিতে দুই হাজার বাড়িতে মাংস পাঠানো হচ্ছে। শনিবার পশু কোরবানির পর চলছে এ মাংসের ভাগাভাগি।

এ উপজেলায় কয়েক শত বছর ধরে চলছে এই সামাজিক কোরবানির মাংস তৈরি ও বিতরণ। ধনী-গরিব সবাই এই মাংসের অংশীদার। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা পৌর শহরের ঈশ্বরগ্রামে এবার এই সামাজিক কোরবানির মাংসের ভাগ পাবে দুই হাজার বাড়ি অর্থাৎ ওই সব বাড়ির পরিবারের সদস্যরা।

কোরবানি দেয়া পশুর মাংস শনিবার সন্ধ্যায় দুই হাজার ভাগ তৈরি করে সন্ধ্যায় সেগুলো বিতরণ করা হবে।

আয়োজকরা জানান, ঈশ্বরগ্রাম এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় যারা পশু কোরবানি দেন, তারা প্রতিটি পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ জমা দেন এই সামাজিক ভাগ-বণ্টনে। এই সমাজভুক্ত প্রত্যেকের বাড়ির জন্য একজন করে ভাগীদার ধরে মাংস ভাগ করা হয়। এবার দুই হাজার ভাগ করা হয়েছে সামাজিক কোরবানির মাংস। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে আওতাভুক্ত বাড়ির মালিকদের ডেকে এনে মাংস বিতরণ করা হবে।

জানা যায়, জেলার ১৪টি উপজেলার অনেক গ্রামে এখনো ‘মসজিদভিত্তিক সমাজ’ প্রচলিত আছে। মসজিদ কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয় সমাজ। অনেক গ্রাম আছে, যেখানে কোরবানি হয় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে। কোরবানির মাংস যাতে সমাজের সবার ঘরে পৌঁছায়, সে জন্য কোরবানির মাংস তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদ চত্বরে জমা করতে বলা হয়। কেউ এই নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তাকে সমাজের কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে হয়।

জমাকৃত মাংস মসজিদের আওতাভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে একক ধরে ভাগ করা হয়। ধনী-গরিব সবাই সমান হারে ভাগ পায়। এই নিয়মে কোরবানির মাংস বণ্টন করার ফলে কোরবানির দিন কেউ মাংস থেকে বাদ যায় না।

তবে হালে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভাগ হয়ে ছোট পরিবার হয়ে যাওয়ায় সামাজিক কোরবানির এই মাংস ভাগের প্রথা দিন দিন কমে আসছে।

ঈশ্বরগ্রামের বাসিন্দা পৌরসভার কাউন্সিলর এবং উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর জানান, এ বছর দুই হাজার বাড়িতে কোরবানির মাংস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২সেপ্টেম্বর/ব্যুরো প্রধান/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :