জাবিতে সংঘর্ষের জেরে পরীক্ষা পেছাল এক ঘণ্টা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌনহয়রানির জের ধরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত: ৪০জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল ও আল বেরুনি হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর জের ধরে বুধবার সকাল নয়টায় অনুষ্ঠেয় জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা আটকে দেয় আল বেরুনি হলের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও পুরাতন কলা ও মানবিকী অনুষদে অনুষ্ঠিত চলতি সেশনের ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে শুরু হয়।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, এইমাত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং শিক্ষার্থী ভেতরে প্রবেশ করেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতের সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জনের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১০-১৫ জন শিক্ষার্থীকে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু জাফর মো. সালেহ। ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল মেডিকেল অফিসার জাকারিয়া জানান, আহতের সংখ্যা কমপক্ষে অর্ধশত হবে। আহতদের অধিকাংশই আল বেরুনি হলের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, রাত দশটার দিকে এক নারী শিক্ষার্থীকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৪৫ ব্যাচের দু-তিনজন শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি করে।
ওই নারী শিক্ষার্থী ফোন করে বিষয়টি আল-বেরুনি হলে থাকা তার বন্ধুদের জানায়। পরে ওই হলের ৪৬ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী মীর মশাররফ হলের ওই শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে রাত ১২টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৬০-৭০জন শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল- বেরুনি হলে এসে হামলা চালায়। এসময় দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে।
পরে শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ছিলেন।
প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছি। তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর পেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঢাকাটাইমস/০৩অক্টোবর/প্রতিনিধি/ওআর