‘শিক্ষার্থীদের প্রতি মানবিক হোন’
অরিত্রি অধিকারী। ভিকারুন্নেসা স্কুলের নবম শ্রেণির এই মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। আমি তো এই ঘটনার জন্য সরাসরি ওই স্কুল এবং সব শিক্ষকদের দায়ী করবো। কয়েকজন অভিভাবক আমাকে জানালেন, গতকাল ক্লাস বা পরীক্ষা চলাকালে মেয়েটা ব্যাগে মোবাইল নিয়ে এসেছিল। শিক্ষকরা এরপর মেয়েটাকে প্রচণ্ড বকাবকি করেন। মেয়েটা ক্ষমা চাইলেও শিক্ষকদের মন গলেনি। তারা আজ মেয়েটির বাবা-মাকে স্কুলে ডাকিয়ে জানায় মেয়েটাকে তারা চিরতরে স্কুল থেকে বের করে দেবে। অভিভাবকরা বারবার বিষয়টা বিবেচনার জন্য বললেও মহান শিক্ষকদের মন গলেনি। বরং মেয়েটার সামনেই নাকি তার বাবাকে খুব বাজেভাবে অপমান করেন শিক্ষকরা। বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি মেয়েটি। বাসায় ফিরেই ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
আমাকে ওই স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক জানালেন, সেখানে নাকি নিয়মতিই ছাত্রীদের এমন ভয়ঙ্কর সব ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমি বুঝলাম না এটা কী স্কুল নাকি জেলখানা? সেখানকার শিক্ষকদের কী বোধশক্তি নেই? শুধু টিউশনি করিয়ে আর বাচ্চাদের জিপিএ পাইয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ? বাচ্চাদের মন, মনন বোঝার কী কোনো দরকার নেই? আমি শুধু ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলবো মানবিক হোন। ছাত্রীদের মন বুঝুন। আপনারা শিক্ষক হয়ে কোথায় একজন ছাত্রীকে সুন্দর করে বাঁচানোর স্বপ্ন দেখাবেন তা নয় উল্টো আপনাদের নিপীড়নে একজন ছাত্রী আত্মহত্যা করছে। কাজেই ছাত্রছাত্রীদের মানুষ করার আগে নিজেরা মানুষ হোন। দায়িত্বশীল মানুষ হোন, যাতে আর কোনো অরিত্রিকে এভাবে মরতে না হয়।
শরীফুল হাসান: সাংবাদিক
লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া