শীতে ব্যথা কমায় সকালের রোদ
শীতকাল সবার কাছে উৎসবের ঋতু। কিন্তু বয়স্কদের কাছে শীত যেন ব্যথার ঋতু এবং এ ব্যথা কী যে ব্যথা বোঝেন তিনিই যিনি আর্থ্রারাইটিস, অস্থিসন্ধির ব্যথায় কাবু। সত্যি, কী অদ্ভুত ব্যাপার! ঠাণ্ডার সঙ্গে যেন ব্যথা পাল্লা দিয়ে বাড়ে।
তাপমাত্রা যত নামবে ব্যথার পারদ তত চড়বে। কেন? ডাক্তারের মতে, তাপমাত্রা কমলে জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে রক্তের তাপমাত্রাও কমে যায়। ফলে, গাঁট শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে। ব্যথায় কাহিল বৃদ্ধ মানুষ।
ভারতের কানপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আনন্দ স্বরূপ বলেছেন, ‘শীতে আমাদের হার্টের চারপাশে রক্তও তুলনায় ঠাণ্ডা হয়ে পড়ে। তাই শরীরকে উষ্ণ রাখতে আমরা এই সময় গরম পোশাক গায়ে দিই। ঠাণ্ডার জন্যই শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত সঞ্চালনের বেগ কমে যায়। ফলে, ঠাণ্ডা ত্বকে ব্যথার প্রভাব বেশি অনুভূত হয়। এরই আরেক নাম বাত।’
ডা. আনন্দ আরও বলেছেন, ‘৪০ পেরোলেই সাধারণত আর্থ্রাইটিসে কাবু হন মানুষ এবং বেশি ভোগেন মহিলার। আর হাঁটু যেহেতু শরীরের সমস্ত ওজন বহ করে তাই সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ।"
তিনি বলেন, ‘রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হলে গাঁট বা অস্থিসন্ধির পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ বা পুরো শরীরও অনেক সময় আক্রান্ত হয়। তখন শরীর জুড়ে ব্যথা, ফোলাভাব। বেঁকে যায় হাত-পা। পেশির দুর্বল হয়ে পড়ে। জ্বর হয়।
কেন ভোগেন এই সমস্যায়?
আনন্দ স্বরূপের মতে, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দেয় শরীরে। ফলাফল, হাড়ের ক্ষয়। এছাড়া, লিগামেন্টগুলোর দৈর্ঘ্য এবং নমনীয়তাও হ্রাস পায়। যার কারণে জয়েন্টগুলো ফুলে যায়।’
কী করলে রেহাই মিলবে ?
‘সকালের নরম রোদে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। তাই শীতে গা সেঁকে নিন সকলের রোদে। প্রচুর ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করলেই কমবে ব্যথা এবং জয়েন্টের ফোলাভাব। রোদের তাপে উষ্ণ হবে শরীর। রক্ত সঞ্চালন হবে দ্রুত।
এছাড়াও করুন যোগাসন। নিয়মিত। বিশেষ করে যাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারে বসে কাজ করেন। রোগ সারাতে যোগের সত্যিই কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
ঢাকাটাইমস/১৮জানুয়ারি/এসএস