ভারোত্তোলনে আয়ু বাড়ে

সবাই সুস্থতার সঙ্গে দীর্ঘ জীবন লাভ করতে চান। এই দীর্ঘ জীবন লাভ করতে হলে কষ্ট করতে হবে। কথায় আছে- ‘কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না।’ তাহলে ওজন তুলুন নিয়ম করে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে পেশি শক্তি দীর্ঘ জীবন পাওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লিসবনে ইউরোপ্রিভেন্ট ২০১৯-এ উপস্থাপিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে, গতি তৈরি করা এবং গতিবিধি সমন্বয় করার ক্ষমতার উপর শক্তি নির্ভর করে।
৪০ বছর বয়সের পর পেশি শক্তি হ্রাস পায়। কিন্তু শরীরের উপরের ও নিচের অংশের জন্য একাধিক ব্যায়াম রয়েছে যা পেশির শক্তি বাড়ায়। ওজন তুললে পেশি সুগঠিত হয়।
ব্রাজিলের রিও ডে জেনিরোর এক্সারসাইজ মেডিসিন ক্লিনিকের অধ্যাপক, গবেষক ও লেখক ক্লাউডিও গিল আরাউজো বলেন, ‘বেশি বয়সে একটি চেয়ার থেকে উঠানো এবং বলে লাথি মারার জন্য পেশির জোরের চেয়ে পেশির শক্তির প্রয়োজন বেশি। তবে বেশিরভাগ ভারত্তোলন ব্যায়ামগুলোতে পেশির জোর বাড়ানোতেই নজর দেওয়া হয়।’ তাঁর কথায়, গবেষণায় দেখা যায় যে পেশি শক্তি আছে এমন মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন।
গবেষণার জন্য দলটি ৪১ থেকে ৮৫ বছর বয়সী ৩,৮৭৮ জন ক্রীড়াবিদ নন এমন মানুষদের উপর পরীক্ষা চালান। ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এদের পেশির শক্তির নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে। অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৫৯ বছর। পাঁচ শতাংশ মানুষ ছিলেন যাঁদের বয়স ৮০ বছরের বেশি ছিল। এবং ৬৮ শতাংশই ছিলেন পুরুষ।
পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা করে বর্ধিত ওজন তোলার দুই-তিনটি প্রচেষ্টার পরে অর্জিত সর্বোচ্চ মানটি পেশি শক্তি এবং শরীরের ওজন এই দুই বিষয়ের প্রেক্ষিতে মাপা হয়। গবেষণার মতে, সাড়ে ছ'বছর গবেষণার পরে মাঝামাঝি একটা সময়ে ২৪৭ জন পুরুষ (১০ শতাংশ) এবং ৭৫ জন নারী (৬ শতাংশ) মারা যান।
৪০ বছর বয়সের পরে পেশি শক্তি হ্রাস পায়। আরাউজো বলেন, ‘আমরা দেখিয়েছি যে শক্তি মৃত্যুর সমস্ত কারণের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কিত।
কিন্তু শরীরের উপরের ও নিচের অংশের জন্য একাধিক ব্যায়াম রয়েছে যা পেশীর শক্তি বাড়ায়। তবে এমন ওজন নেবেন না যা ওঠাতেই পারবেন না।’
ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/এসএস

মন্তব্য করুন