নোয়াখালীর ইউএনও আরিফুলের প্রশংসায় দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৪৩ | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:২৮

শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘সততা স্টোর’ নামের কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়ায় নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম সর্দারকে প্রশংসাবার্তা পাঠিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার দুদক চেয়ারম্যান স্বক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনওর পুরস্কার জেতা আরিফুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, “দুর্নীতি দমন কমিশনের বাইরে ব্যক্তিগত অর্থায়নে দুই শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘সততা স্টোর’ স্থাপনে আপনার প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। প্রাথমিক বিদ্যালয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলীর পরিস্ফূটন ঘটাতে ভূমিকা রাখে। শিশু শিক্ষার্থীদের মনে সততার বীজ বপন করে দিলে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন আলোকিত হয়ে গড়ে উঠবে। এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এ ধারণা থেকেই দুর্নীতি দমন কমিশন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ‘সততা স্টোর’ স্থাপন করেছে। যাতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। আপনি (আরিফুল ইসলাম) ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আপনার এলাকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সততা স্টোর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনে এ ধারণা থেকে সততার শিক্ষা নিবে কমিশন এই প্রত্যাশা করে।’

ভবিষ্যতে দুদকের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আরিফুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে বিশ্বাস করে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় নোয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম সরদার ২০১৯ সালে ২১টি ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত হন।

তার আগের বছর ২০১৮ সালে নোয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে ১১ মে সদর উপজেলায় যোগদান করেন।

আরিফুল ইসলাম সরদার গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সুক্তা গ্রামের মরহুম আ স ম মঈনুদ্দিন সরকারের ছেলে। ইউএনও হিসেবে নোয়াখালীতে যোগদানের পর থেকেই মেধা, যোগ্যতা আর দায়িত্ববোধের প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। উপজেলাবাসীর কাছেও নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন ভিন্নভাবে।

একজন শিক্ষাবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এরই মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার জন্য উপজেলার কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ, মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়তে খেলাধুলা, অবসর বিনোদনের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা ব্যবস্থা করেছেন।

এ ছাড়া যানজট নিরসন এবং বেকার সমস্যার সমাধানকল্পে কারিগরি শিক্ষা, হস্তশিল্প, কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলার প্রতিটি দপ্তরে দুর্নীতিমুক্ত সেবার মান বাড়াতেও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে উপজেলার প্রতিদিন প্রতিটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/৬ফেব্রুয়ারি /এমএমআই/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :