সাত মাসেও ভাঙা সেতুতে নজর পড়েনি কর্তৃপক্ষের

সাইফুল ইসলাম, নাটোর
| আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:২৬ | প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:২৫

গত বন্যায় আত্রাই নদীর পানির তোড়ে সিংড়া উপজেলার পানাউল্লাহ খালের বখতারপুর সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় প্রায় ২০টি গ্রামের। এরপর থেকেই সেই ভাঙা সেতুতে নড়বড় বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার লোক। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ চলাচলকারী জনসাধারণ। আর সেতু ভেঙে পরার সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই।

উপজেলা এলজিইডি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আশির দশকে শেরকোল-বখতারপুর এই সেতুটি নির্মাণ করেন তৎকালীন লালোর ইউপি চেয়ারম্যান মকছেদ আলী। আর এই সেতুটি অত্যন্ত সরু এবং ইটের তৈরি। এছাড়া আত্রাই নদী থেকে ঐতিহ্যবাহী হালতি বিলের মধ্যে পানি আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ এই বখতারপুর সেতু। প্রায় এক যুগ আগ থেকেই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পরে গত বছরের ১৯ জুলাই দুপুরে হঠাৎ আত্রাই নদীর পানির তোড়ে ৪৫ ডিগ্রি কোণে এই সেতু হেলে পড়ে এবং দুই পাশের মাটি ধসে যায়। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে বখতারপুর, গোবিন্দনগর, বারোইহাটি, হামিরঘোষ, সোনাইডাঙা, করেরগ্রাম, ডাঙাপাড়া, হালতিবিল, ডাকমন্ডবসহ অন্তত ২০টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোকের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে যায়।

পরে জনসাধারণের যোগাযোগের জন্য উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটিও এখন নড়বড় হয়ে পরায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও চলাচলকারী জনসাধারণকে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী ও কৃষিপণ্য আনা-নেয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় ভ্যানচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘মাঝে মাঝেই হেই সেতুতে ভ্যান উল্টে অনেকেই আহত হয়। কিন্তু আমগো অসুবিধা দেখবার মানুষ নেই।’

৭ নম্বর লালোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, গত বন্যায় হঠাৎ সেতু ভেঙে পরায় তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নের একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে শুনেছি, এখানে নতুন সেতু নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিলহালতি ত্রিমোহনী অনার্স কলেজের ভূগোলের সহকারী অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এই সেতুটি অতি পুরাতন ও ইটের তৈরি একটি সরু সেতু ছিল। এখন সেটি ভেঙে পরায় সিংড়া উপজেলাসহ নলডাঙা ও নওগাঁ জেলার কয়েক হাজার মানুষের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সিংড়া উপজেলা প্রকৌশলী হাসান আলী বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য তিনি প্রস্তাবণা প্রস্তুত করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবটি অনুমোদন হতে সময় লাগার কারণে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সেতুটি নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তাই তিনি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৮ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :