ঘরে বসে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের কয়েকটি টিপস
বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নিয়েছে করোনাভাইরাস। দাবানলের মতো বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এর সংক্রমণের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো জ্বর, শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্ট। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেদিকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থায় সামান্য সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে এই ভাইরাসটির লক্ষণ দেখা দিলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থেকে সুস্থ্য হওয়া সম্ভব। এছাড়া যারা আক্রান্ত হননি কিন্তু ভয়ে রয়েছেন তারাও সতর্ক থাকতে পারেন। এমন অবস্থায় চিকিৎসকরা বাড়িতে বসেই যাতে আপনি শরীরের তাপমাত্র পর্যবেক্ষন করতে পারেন তার কয়েকটি টিপস দিয়েছেন। সেগুলো হলো-
সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে
সর্বদা বলা হয়ে থাকে যে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্র ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন এই সংখ্যাটি আসলে ৯৭.৯ ডিগ্রির কিছুটা কম। তবে শরীরের ওজন উচ্চতা এবং অন্যান্য কারণে এর তারতম্য হতে পারে। কিন্তু যদি আপনার তাপমাত্র ১০০.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয় তবে আপনার জ্বর হয়েছে এমনটি ধরে নিবেন।
সময় গুরুত্বপূর্ণ
সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা দিনে এবং রাতে কিছুটা ওঠানামা করে। দিনের বেলায় তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। এজন্য দিনে অন্তত দুই বার তাপমাত্রা পরিমাপ করুন। যার একটি সর্বোচ্চ থাকার সময়ে এবং অন্যবার দিনের যেকোনো সময়ে। তবে প্রতিদিন যদি আপনি একই সময়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করেন তাহলে শরীরের তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন হলে সহজেই তা ধরতে পারবেন।
কেমন থার্মোমিটার ব্যবহার করা উচিত
শরীরের সঠিক তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য সাধারণ ফার্মেসিতে পাওয়া থার্মোমিটারই যথেষ্ট। এটি আপনাকে মোটামুটি সঠিক তথ্য দেয়। এজন্য আপনাকে বড় স্ক্যানার কিনতে হবে না। কারণ স্ক্যানারগুলো বিমানবন্দরের মতো ট্রাফিক এরিয়ায় ব্যবহৃত। বড় স্ক্যানার ও সাধারণ থার্মোমিটারের তথ্য দেয়ার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে তাপমাত্রা পরিমাপের পর ডিভাইসটি জীবানুমুক্ত করুন এবং পরিবারের সব সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা থার্মমিটার ব্যবহার করুন।
জ্বর হওয়ার অন্যান্য লক্ষণ
আপনার জ্বর হয়েছে কি না তা জানার সবচেয়ে সঠিক উপায় থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করা। তবে দেহে জ্বর রয়েছে কি না তা জানার জন্য থার্মোমিটার ছাড়াও অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে। যেমন শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পর ঘাম দেয়া, ব্যথা ইত্যাদি শরীরে জ্বরের নির্দেশ করে। যদি কয়েকদিনের মধ্যেও তাপমাত্রা না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ঢাকা টাইমস/০৭এপ্রিল/একে