কাপাসিয়ায় ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে নিন্মমানের পিপিই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২০, ১৪:২৩

পিপিই উচ্চারণ করতে না পারলেও সড়কের মোড়ে দাঁড়িয়ে গলা ফাটিয়ে বলছেন, ‘করোনা থেইকা বাঁচেন পিপি নেন, পিপি’। করোনার কথা শুনে কিছু বুঝে উঠতে না পেরে সড়কে চলাচল করা লোকজন হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায়। আবার কেউ নেহাত কৌতূহলবশত দর কষাকষি করে। বিক্রেতার হাকডাক শুনে বাজার করতে আসা গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি রহমত আলী জানতে চাইলেন পিপিই স্যুটের দাম কতো? দোকানি উত্তর দিলো ৩০০ টাকা।

নেওয়ার আগ্রহ কম দেখে বললেন, ২৮০ টাকা দিয়েন কাকা। রহমত আলী জানে না এগুলো দিয়ে কি হয়। করোনার কথা শুনে কৌতুহলবশত দোকানের কাছে এসেছেন। ওনার মতো আরো অনেকেই পিপিই দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের সড়কের মোড়ে মোড়ে পাসরা সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব সুরক্ষা সামগ্রী।

চার দিকে লকডাউন। এরই মাঝে সকল হাট-বাজার ও দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। হাট-বাজারে ভিড় জমালে পুলিশের দৌড়ানি খেতে হয়।

তাই খুব ভোরবেলা থেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন মানুষ। সবাই খুব তাড়াহুড়া করে কাজ শেষ করে। তবুও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কথা শুনে এদিক সেদিক ঘুরে তাকায়। দামে ধরে হলে কিনে নেন পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুয়িপমেন্ট (পিপিই)। এক জায়গায়ই পাওয়া যায় স্যুট, গ্লাবস, মাস্ক, গুজ কভার, গগলস।

ব্যগ তৈরির কাপড় দিয়ে তৈরি করা এসব সুরক্ষা সামগ্রীতে সয়লাব বাজার। বিপুল মুনাফার আশায় কিছু প্রতিষ্ঠান নিন্ম মানের এসব পিপিই তৈরি করছে। উপজেলার রাস্তা-ঘাটের ফুপটাতে, ফার্মেসিতে, ইলেকট্রিক দোকানে এমনকি মুদি দোকানেও বিক্রি হচ্ছে সুরক্ষাসামগ্রী। এসব সুরক্ষাসামগ্রীর অধিকাংশই সস্তা ও নিন্মমানের। যা কোন ভাবেই ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না বলে মনে করেন বিষেজ্ঞরা।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিপিইর পরিচিতির সাথে বেড়েছে ব্যবহার। এখন শুধু চিকিৎসকই নন, পুলিশ, সাংবাদিক, স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে অনেক সচেতন মহলই পিপিই ব্যবহার করছে। কিন্তু নিন্মমানের এসব পিপিই সম্পর্কে তারা মোটেও অবগত নন। দামে সস্তা হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয় চাহিদা বাড়ছে। পাওয়া যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলিক হাট-বাজারেও। বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছেন উপজেলাবাসী।

উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের রাসেল হোসেন মাস্ক কিনছেন। দাম নিয়েছে ২৫ টাকা। কেন কিনেছেন জনতে চাইলে বলেন, মাস্ক পড়লে করোনা ভাইরাস হয় না। দেখেন না সবাই পড়ছে। মুখে মাস্ক না থাকলে পুলিশও মারে।

এ ব্যপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মারুফ হক খান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পিপিই’র জন্য সুনির্দিষ্ট মান ও ব্যবহারবিধি রয়েছে। ব্যবহার শেষে যথাযথ নিয়মে তা বিনষ্ট করতে হবে। নিম্নমানের পিপিই দিয়ে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, বরং নিম্নমানের পিপিই’র যত্রতত্র ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :