এবার হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের পাশে ইকরামুল মুসলিমীন

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২০ মে ২০২০, ১৬:৫০
অ- অ+

হিন্দু-বৌদ্ধ রাখাইন ও সর্বস্তরের খেটে খাওয়া মানুষদের নগদ অর্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সহায়তার পর এবার সমাজের অবহেলিত সম্প্রদায় হিজড়া ও বেদেদের পাশে দাঁড়ালো ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন। গতকাল মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং বেদে পল্লীর প্রায় আড়াইশো পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান করে ফাউন্ডেশনটি।

ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ ও যুগ্ম-সচিব ইমতিয়াজ উদ্দিন সাব্বিরের নেতৃত্বে এই উপহার প্রদান করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বেদে সরদার মো. মন্টু মিয়া বলেন, ‘আমাদের খোঁজখবর কেউ নেয় না, ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন আমাদের খবর নিয়েছে, আমরা অত্যন্ত খুশি। আমাদের প্রত্যেক ঘরে তাদের দেওয়া উপহার পৌঁছেছে। কিছু অতিরিক্তও রয়েছে।’

এর আগে শ্যামপুর হিজড়া বাড়িতে ঈদ উপহার বিতরণ করে ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন। হিজড়াগুরু পপি বলেন, ‘সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত আমরা। লকডাউন শুরুর পর থেকে না খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। আমাদের দেখার কেউ নাই। ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা অত্যন্ত খুশি। তারা আমাদের ঘৃণা না করে খোঁজখবর নিয়েছে। আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। সমস্ত নাগরিক সুবিধা পেতে চাই।’ সরকারের কাছে কর্মসংস্থানের দাবিও জানান পপিগুরু।

ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, ‘লকডাউনের শুরু থেকেই জনসচেতনতায় স্প্রে করা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম-কানুন মাইকিং করে প্রচার করা, আলেম হিন্দু রাখাইন-সহ সর্বস্তরের খেটে খাওয়া পরিবার ও মধ্যবিত্ত পরিবারে নগদ অর্থ ও জরুরি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। রাস্তার পাশে বসবাসকারী ছিন্নমূলদের জন্য রান্নাকৃত খাবার, ইফতার-সাহরি বিতরণ ও সারাদেশে প্রায় ৭০টি টিম করে করোনায় মৃতের কাফন-দাফন-সহ চতুর্মুখী সেবা দিচ্ছি আমরা। কিন্তু হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের কথা কেউ ভাবে না। সমাজের সবচেয়ে বেশি অবহেলিত সম্প্রদায় তারা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। হয়ত এই সুযোগে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনারও একটা সুযোগ পেতে পারি।’

মুফতি মিছবাহ বলেন, ‘হিজড়াবাড়িতে আলাদা নামাজের জায়গা করে ইমাম রেখে নামাজ পড়ে তারা। তারা কোরআন শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমি তাদেরকে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব নিয়েছি।’

কাফন-দাফন প্রসঙ্গে মুফতি মিছবাহ বলেন, ‘সারাদেশে প্রশাসনের অনুমোদনে নিয়ে আমাদের টিমগুলো কাজ করে যাচ্ছে। আলোচিত পুলিশ উপ-পরিদর্শক সুলতানুল আরেফিনের দাফনকার্যও সম্পন্ন করে জামালপুর জেলা টিম। তবে ঢাকায় আমরা অনুমোদন না পাওয়ায় কাজ করতে পারছি না।’

ঈদে তিন দফা জরুরি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, নগদ অর্থ বিতরণ এবং ঈদ উপহার নামে কয়েকটি আলাদা আলাদা প্যাকেজে ঈদসামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং করবেন বলেও জানান মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রথম প্রেমের স্পর্শ: পর্ব ৫-অজানা শহরে তাঁর দেখা
শেফালির শেষ বিদায়ে হাতজোড় করে যা বললেন তার স্বামী
মাদরাসার ১০ বছরের ছাত্রকে পিটিয়ে বস্তায় ভরে ছাদে ফেলে রাখলেন শিক্ষক
আজ থেকে দেশে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা