শো অফ করে যদি গরীব বাঁচে তো করুক
কারো শো অফ এর জন্য যদি অনাহারির আহার জোটে তবে শো - অফ ভালো। তো বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা অসাধারন সামাজিক সংগঠনে আমি কাজ করি যেখানে দুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করা হয়। আর এই কথাটা আমি খুব ঘনঘন বলি,যদিও মতের বিপক্ষে যারা তাদের স্বাগত জানাই।
তবে শো অফ করার কিছু টার্ম অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। ধরুন সরকারের তহবিল থেকে ত্রাণ যাচ্ছে দুস্থ পরিবারের জন্য,বা যারা বিপদগ্রস্থ আছে তাদের জন্য। সেখানে যদি পাতি নেতারা ত্রাণ গ্রহণকারির ছবি তোলে বা অন্যান্য কসরত করে করে সেখানে আওয়াজ তুলুন । এদের ট্রল করুন,উড়িয়ে দিন মিম বানিয়ে, তুলে ধরুন ভোট ভিক্ষা চাওয়া কুলাংগারদের।
এরা যদি নিজ তহবিল থেকেও দেয় তবুও তা সরকারি তহবিল,আলটিমেটলি এরা জনগণের জন্য কাজে নেমেছে, তাই জনগনের কম্ফোর্ট জোন দেখবে না এমন তো হতে পারে না।
অপরদিকে এনজিও, বা কারো একান্ত ইচ্ছায় কেউ ত্রাণ দিলে সেখানে যদি কেউ ছবি তোলে বা কসরত তাতে আমি আপত্তির কিছু দেখিনা। এনজিও, অথবা সামাজিক সংগঠনগুলোর শো অফ করার টার্ম আছে তা নাহলে এরা না খেয়ে মরবে।
ধর্মগুলোতে স্পষ্ট আছে ধনীরা গরীবদের অথবা যাদের অভাব আছে তাদের সাহায্য করবে। এতে পূণ্য রয়েছে এবং না করলে পাপ হবে শাস্তিও হবে। তো এক কথা ধনীর সম্পদে গরীবের অধীকার রয়েছে।
তারপরেও এরা শো অফ করলে তাতে আমাদের কিছু করার নেই। আমার মতে ইহা মন্দের ভালো। তো রিচ পিপল যদি ত্রাণ দেয়, অসহায়দের সাহায্য করে তাদের ইন্সপাইরেশন দিন। ওয়াও আপনি এত ধনী,আই ওইশ আমিও ত্রান দিতে পারতাম, নেক্সট জেফ বোসেজ, ওয়াও, দারুন,ভাইয়া এরাকম কাজ আরো দেখতে চাই,কমেন্ট করুন।
শেয়ার করুন তাদের ছবি তাদের হিরো হিরো ভাব ফিল করতে দিন। আল্টিমেটলি কারো পেটে ভাত পড়তে সাহায্য করুন। সর্বোপরি এই পেন্ডেমিক সময়ে বেশি বেশি শো অফ করুন।
লেখকঃ শিক্ষার্থী ও প্রাবন্ধিক
ঢাকাটাইমস/৩১মে/এসকেএস