নোয়াখালীতে মানব পাচারকারীর ভয়ে বাড়ি ছাড়া যুবক

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০২০, ২০:৫৬| আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২০, ২২:২৫
অ- অ+

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ইতালি গমনেচ্ছু এক যুবক মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পড়ে পড়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের নাম মো: ইসমাইল হোসেন (২৫)। উপজেলার চিরিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। কবিরহাট থানা পুলিশ অীভযোগটি তদন্ত করছে।

ইসমাইল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের মৃত মজিবুল হকের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৫৫) ও মফিজের জামাই বাবলু মিয়ার (৩০) মাধ্যমে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালি যাওয়ার চুক্তি করি। টাকা দেওয়ার পর তারা আমাকে ঢাকা নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম প্রধান কামাল প্রকাশ হাজী কামালসহ আরো কয়েকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাদের কাজ কর্মে আমি বুজতে পারি এরা বড় ধরনের মানব পাচারকারী চক্র। এরপর তিনি নোয়াখালী ফিরে এসে ইতালি না যাওয়ার কথা মফিজকে জানায়।

তিনি বলেন, এরপর থেকে মফিজ ও তার ভাগিনা হাতিয়ার আকবর হোসেন (দালাল) আমার সাথে ঝামেলা শুরু করে। একপর্যায়ে মানব পাচারকারী মফিজ আমাকে পূবালী ব্যাংক দত্তেরহাট শাখার ৮লাখ টাকার একটি চেক দিলেও সেই একাউন্টে কোন টাকা ছিল না। এ ঘটনায় আমি চেক প্রত্যাখ্যান ও প্রতারণার অভিযোগ এনে নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে একটি মামলা করি। ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে গত ২০ মে দুপুরে নোয়াখালী আদালত এলাকা থেকে মফিজ উদ্দিন ও তার জামাতা বাবলু এবং বাবুল মিয়া মোটরসাইকেল যোগে আমাকে অপহরন করে কবিরহাটের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে নিয়ে ২৪ ঘন্টা একটি ঘরে আটক করে মারধর করে আমাকে দেওয়া ডিজঅনার হওয়া ৮লাখ টাকার চেক ও ১৫ টি সাদা স্ট্যাম্পে (লেখাবিহীন স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। ঘটনায় গত ৮ জুন জেলা পুলিশ সুপার বরাবর মফিজ উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পড়ে পড়ে এখন নিজের এখন নিজের জীবন বাঁচাতে নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তিনি ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ইসমাইল।

কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল কাদের ঢাকাটাইমসকে বলেন, মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। তবে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে মাফিজ উদ্দিনের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। অভিযুক্ত মো: মোফিজ উদ্দিন মোবাইল ফোন বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযোগকারীও এলাকায় নেই।

পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযুক্ত মো: মফিজ উদ্দিন কোন মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকিনা তা খতিয়ে দেখতে নোয়াখালী সিআইডি কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য কবিরহাট থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাকাটাইমস/১৬জুলাই/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এপ্রিলের ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার
নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই সব দেনা পরিশোধ করল পেট্রোবাংলা
ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়, বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা