এখন মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না বাংলাদেশি কর্মীরা
মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে এসে অবস্থান করা প্রবাসীদের মধ্যে যারা দেশটিতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে বা এদের মধ্যে যাদের ইতমধ্যে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তারা এখনই সেদেশে ফিরতে পারবেন না।
শুক্রবার মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, যেসব কর্মী মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে গিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, মালয়েশিয়ায় আসার জন্য অপেক্ষায় আছেন এবং ইতোমধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের জানানো যাচ্ছে যে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মালয়েশিয়া সরকার রিকোভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও) জারি করেছে।
এ আরএমসিও চলাকালে বিদেশি সাধারণ কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করার সুযোগ নেই। আরএমসিও তুলে নিলে নিজ নিজ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে মালয়েশিয়ায় আসার ব্যবস্থা করতে হবে।
হাইকমিশনের বার্তায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের সতর্ক করে বলা হয়, তবে এ সুযোগে এক শ্রেণির দুষ্টুচক্র ভিসা দেওয়াসহ মালয়েশিয়া ফেরত আসার বিষয়ে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা-পয়সা নেবার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে সতর্ক হবার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মালয়েশিয়া সরকার থেকে আরএমসিও’র মেয়াদ গত ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে গত সপ্তাহে আরএমসিও’র মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস ইস্যুতে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এসব দেশের নাগরিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
গতকাল মালয়েশিয়া সরকার এমন সিদ্ধান্তের খবর জানায় দেশটির গণমাধ্যম।
মূলত যেসব দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের পরিমাণ দেড় লাখের বেশি ছাড়িয়েছে সেসব দেশের নাগরিকদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী ইমাইল সারাবি ইয়াকুবের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির দৈনিক মালয়েশিয়াকিনি জানায়, মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞায় যুক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ব্রাজিল, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, সৌদি আরব এবং রাশিয়া।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভারত, ফিলিপিন ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া।
দেশটিতে বিদেশ ফেরতদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় দেশটির কয়েকটি গণমাধ্যম।
(ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টম্বর/এনআই/ইএস)