যৌন হয়রানির অভিযোগে মেয়রের পদত্যাগ
কয়েকজন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পর পদত্যাগ করেছেন কোপেনহাগেনের মেয়র ফ্রাঙ্ক জেনসেন। পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, ‘আমি রাজনৈতিকভাবে যে কাজগুলো করতে চাই তা এখন আর করা সম্ভব হবে না, সে কারণে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ যারা আমার অশালীন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন, সেই নারীদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি৷’
৫৯ বছর বয়সি মেয়র ডেনমার্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির সহ-নেতার ভূমিকা থেকেও সরে যাচ্ছেন, যে পার্টির লিডার প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন নিজে৷ জেনসেন ২০১০ সাল থেকে ডেনমার্কের রাজধানীর মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ এর আগে তিনি আইনমন্ত্রী এবং গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন৷
মেয়রের বিরুদ্ধে ২০১২ এবং ২০১৭ সালেও দু'জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন, তাদের একজন ছিলেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের৷ রবিবার দলের যুব শাখার প্রধান জিল্যান্ড পস্টেন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়র ফ্রাঙ্ক জেনসেনের দ্বারা কমপক্ষে আটজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন৷ এ প্রসঙ্গে ‘মি-টু’ এর কথা উল্লেখ করা যায়৷
জেনসেনই ডেনমার্কের প্রথম রাজনীতিবিদ নন, যিনি অসাদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন৷ সোশ্যাল লিবারেল পার্টির প্রধান মর্টেন ওস্টারগার্ড তার এক নারী সহকর্মীর শরীর স্পর্শ করার অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন এই মাসের শুরুতে৷
কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ডেনমার্কে কয়েক হাজার নারী৷ তারা নারী তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি তুলে ধরেছেন৷ তবে প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন নারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন এবং পরিস্থিতির পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন৷
ঢাকা টাইমস/২১অক্টোবর/একে