প্রধানমন্ত্রীকে নিজের লেখা বই দিতে চান ময়মনসিংহের জিয়ারুল

জয়নাল আবেদীন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:১৯

নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ মাঠে এসে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীকে নিজ চোখে এক নজর দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন টকবকে যুবক জিয়ারুল ইসলাম ফকির। ওই সময় থেকেই বঙ্গবন্ধু ও প্রিয় নেত্রীর প্রতি ভালবাসা বুকে ধারণ করে নিজ হাতে একটি বই লেখা শুরু করেন তিনি।

বইটির নাম ‘পিতার কথা রাখতে গিয়ে সন্তানের জীবন ঝুঁকি’। বইটি প্রকাশিতও হয়েছে। পরে বইটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দিতে অনেকের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন সদর উপজেলার ১১ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের চর ঘাগড়া গ্রামের সমিতি বাজার এলাকার বাসিন্দা জিয়ারুল। কিন্তু কেউ তার কথায় সারা দেয়নি। অনেকেই শুধু দিয়েছেন মিথ্যে আশ্বাস।

নিজের লেখা বইটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিতে বঙ্গবভন পর্যন্তও গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখান থেকেও মিথ্যে আশ্বাস আর অবহেলা পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর হাতে বইটি পৌঁছানোর জন্য বেশ কয়েকবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও গিয়েছিলেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি দায়িত্বে থাকা পিয়ন। তবে ছাড়েননি জিয়ারুল। প্রতিদিন ছুটে যান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে।

জিয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় একজন সাধারণ শ্রমিক। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই তার। তবে ছোট থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভক্তি রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘টিভি ও রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতাম। তখন থেকেই নিজের তর দেশ প্রেম জন্ম হয়। আমি একজন সাধারণ মানুষ। রাজনীতি বুজিনা। তবে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ শুনে শরীরের রক্ত গরম হয়ে যেত।’

তিনি আরও বলেন, ‘পিতার কথা রাখতে গিয়ে সন্তানের জীবন ঝুঁকি’ বইটিতে জাতির পিতা শেখ মজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণের কিছু কথা তুলে ধরা হয়েছে এবং শেখ হাসিনার জীবনের অনেক বাস্তব কথা লেখা আছে। বইটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিতে অনেকের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছি। কিন্তু কেউ আমার কথায় সাড়া দেয়নি। তবে আমি হাল ছাড়িনি।’

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :