মোংলায় আট দিনের লকডাউন

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ মে ২০২১, ১৬:৪৮ | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২১, ১৬:৪৫

গত দুই দিনে বাগেরহাটের মোংলায় ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকহারে বাড়তে থাকায় উপজেলাটিতে আট দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার ভোর থেকে এই লকডাউন দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

তবে মোংলা বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, গত দুই দিনে উদ্বেগজনকহারে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় আগামী আট দিনের জন্য উপজেলাজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনে মধ্যে কাঁচা ও মাছ বাজার ভোর ছয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত খোলা রাখতে বলা হয়েছে। অন্যসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জরুরি সেবা ওষুধের দোকান ও রোগী পরিবহণের অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরে বাইরে না আসতে বলা হয়েছে। এই লকডাউনের মধ্যে পৌরসভার মানুষ পৌরসভার বাইরে যেতে পারবে না আর গ্রামের মানুষ পৌরসভায় ঢুকতে পারবেনা। অতিপ্রয়োজনে যদি কেউ ঘর থেকে বের হয় তাহলে তাকে অবশ্যই মাস্ক পরে বের হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কেউ অনীহা দেখালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মোংলায় একাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

মোংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম শেখ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই একমাত্র উপায়। মোংলা এলাকায় সম্প্রতি যে হারে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে তাতে এই সংক্রমণ রোধে লকডাউনের বিকল্প নেই।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএনও) জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, করোনা রোধে গত ২০ এপ্রিল মোংলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হয়। সেই থেকে করোনার সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ও ২৯ মে পরপর দুই দিনে ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ হয়। যার শতকরা হার ৭৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা স্বাস্থ্যবিভাগ উদ্বেগজনক বলে মনে করছে। করোনা রোধে জনসমাগম বন্ধ না করলে রোগীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। তাই জনসমাগম বন্ধের উদ্যোগ নিতে প্রশাসনকে পরামর্শ দেয়া হয়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন বলেন, মোংলা বন্দরে বর্তমানে চাল, সার, ক্লিংকার, পাথর ও এলপিজি গ্যাসসহ দেশিবিদেশি ১০টি জাহাজ অবস্থান করছে। সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে। জাহাজের শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরে ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করছে। বাইরে থেকে আসা জাহাজের সবাইকে জাহাজ থেকে নিচে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের কিছু প্রয়োজন হলে আমদানিকারকরা জাহাজে সরবরাহ করবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :