ওসির অপসারণ দাবিতে গাইবান্ধায় অর্ধদিবস হরতাল পালিত

পাদুকা ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সদর থানার ওসির অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বাস্তবায়নে গাইবান্ধায় পালিত হয়েছে অর্ধদিবস হরতাল। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে জেলা শহরে শুরু হওয়া এই হরতাল চলেছে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ-এর ডাকে এ হরতালের সমর্থনে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। এসময়ে রিকশাভ্যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে সমর্থনকারীরা। কোথাও কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করতেও দেখা গেছে হরতালকারীদের।

হরতালের কারণে শহর থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। তবে কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শহরে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

গত ৩১ মে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ এই হরতালের ডাক দেয়।

প্রতিবাদ মঞ্চের চার দফা দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে হাসান হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার, সদর থানার ওসিকে অপসারণসহ অভিযুক্ত ওসি (তদন্ত) ও অপর এএসআইকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা, হাসান হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং গাইবান্ধা জেলায় অবৈধ দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা।

অভিযোগ রয়েছে, গাইবান্ধার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসান আলীকে অপহরণ করে বাড়িতে টানা এক মাস পাঁচ দিন আটকে রাখেন দাদন ব্যবসায়ী জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদ রানা। পরে হাসানের স্ত্রী তার স্বামীকে উদ্ধারের জন্য সদর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার না করে উল্টো মাসুদ রানার কাছেই হাসানকে তুলে দেন।

পরবর্তীতে গত ১০ এপ্রিল মাসুদ রানার বাড়ি থেকে হাসানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন হাসানের স্ত্রী। ঘটনার পর মাসুদ রানাকে পুলিশ আটক করলেও অপর দুই আসামি এখনো পলাতক।

এদিকে, হাসান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে গাইবান্ধার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলনে নামে এবং গঠিত হয় ‘হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ’।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/পিএল)