ফরিদপুরে অসহায়দের পাশে বিভিন্ন সংগঠন

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২১, ১৫:৫৫

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে কেউ কাজ হারিয়ে পড়েছে খাদ্য সংকটে। কেউবা করোনা রোগী নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এই জরুরি মুহূর্তে অক্সিজেন সিলিন্ডার, খাদ্যসহ বিভিন্ন সংকটে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।

এই দুর্যোগকালে ফরিদপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এমনকি ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে এগিয়ে এসেছেন অসহায়দের পাশে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শহর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উই কেয়ার’, ‘আমরা করবো জয়’ –এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা কঠোর লকডাউনের শুরু থেকেই ছুটে যান সংকটাপন্ন রোগীদের স্বজনদের ডাকে। অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে এই বাড়ি থেকে ওই বাড়ি। রাত নেই, দিন নেই, চলছে তাদের নিরন্তর ছুটে চলা। পাশাপাশি সংগঠনগুলো ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রতি রাতে রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য ব্যবস্থা করছে রাতের খাবারের।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘উই কেয়ার’-এর সংগঠক সঞ্জয় সাহা জানান, তাদের সংগঠনের প্রধান প্রবাসী রোকেয়া পারভীনের পাঠানো অর্থ দিয়ে চালানো হচ্ছে মানবিক এই কাজ।

তবে আরেকটি সংগঠন ‘আমরা করবো জয়’-এর মহুয়া ইসলাম জানান, তাদের নির্দিষ্ট কোনো ডোনার নেই। স্বেচ্ছায় দেয়া নাম প্রকাশে অনাগ্রহী ব্যক্তিদের অনুদানের টাকায় রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দিন থেকে গভীর রাত ফোন কল আসামাত্রই ছুটে যাচ্ছেন তারা। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সহায়তা করছেন দিশেহারা মুমূর্ষু করোনা রোগীদের৷

একইভাবে করোনার এই যুদ্ধে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা।

এই প্রসঙ্গে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমরা জেলা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সের সেবা দিচ্ছি। কোনো রোগী তার অ্যাম্বুলেন্স সেবার দরকার হলে আমাদের হট নাম্বারে ফোন দিলেই সেখানে চলে যায় আমাদের অ্যাম্বুলেন্স। আর এই কাজে কাউকে কোনো পয়সা দিতে হয় না।

একইভাবে জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগ গত এক মাস ধরে শহরে ফ্রি অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স ও মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকারের সেবা দিয়ে আসেছে।

সংগঠনটির সভাপতি শওকত আলী জাহিদ জানান, মানুষের এই বিপদের সময় তাদের পাশে আমরা থাকতে পারছি তাতেই আনন্দ। তিনি বলেন, দেশে লকডাউন থাকায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর স্বজনদের খাবারের ব্যবস্থা আমাদের দলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। এছাড়াও সরকারের পাশাপাশি আমাদের কর্মীরা মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। চেষ্টা করছি শুরু নিজেরা ভাল থাকতে নয়, সমাজের সকলকে নিয়ে ভাল থাকতে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৪৭০ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২০৮ জন। আর এই সময়ে করোনায় মারা গেছে ১৪ জন। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। জেলায় এই পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৭৬ জন।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এসএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :