খানসামায় গরুর হাল চাষ এখনও জনপ্রিয়

নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর)
 | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:২৭

কৃষি প্রধান বাংলাদেশে এক সময় লাঙল ও গরুর হাল ছাড়া কৃষি জমি প্রস্তুতের কথা চিন্তাই করা যেত না। কিন্তু কালের পরিক্রমায় হারিয়ে গেলেও বাংলার এ অতীত ঐতিহ্য উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গ্রামগুলোতে এখনও দেখা যায়।

বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গরু, লাঙল ও জোয়াল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হালচাষের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে অল্প সময়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষক গরু, মহিষ পালন করা হতো হালচাষ করার জন্য। অনেকে গবাদিপশু দিয়ে হালচাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আবার অনেকে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, আলু প্রভৃতি চাষের জন্য ব্যবহার করতেন। নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হালচাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করতেন।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ গ্রামের মেধাপাড়া এলাকার বাবুল ইসলাম প্রতি বিঘা জমি ৫০০-৬০০ টাকা হারে তার দুটি গরুর হাল ও লাঙল দিয়ে চাষ করছেন।

বাবুল ইসলাম জানান, পূর্ব পুরুষের হাত ধরে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে থেকেই এই কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত। প্রতিবছর চাষের মৌসুমে প্রতিদিন ১০০০-১২০০ টাকার মতো আয় হয় তার। উপার্জিত এই অর্থ দিয়ে গরুর খাদ্য ও সংসার খরচ হয়।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রের কারণে গরুর হালের চাপ কমে গেছে। এতে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, গরু-মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল ছিলো আমাদের ঐতিহ্য ও পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি। লাঙল-গরুর হাল চাষ এখনও জনপ্রিয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তির ব্যবহারে সরকার ৫০% উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করছে। এতে কৃষিতে উৎপাদন খরচ কমবে ও কৃষকরা লাভবান হবে। ফলে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে কৃষকরা বেশি আগ্রহী হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :