হকারদের দখলে ফুটপাত, পথচারীদের ভোগান্তি

শেখ ফেরদৌস রহমান, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৫৩| আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪১
অ- অ+

খুলনা নগরীতে ফুটপাত দখল করে রাখে ভ্রাম্যমাণ হকাররা। এছাড়াও স্থানীয় দখলদারেরা ফুটপাতের জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনাও। খুলনা নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ও ব্যস্ততম সড়কের ওপর বসা এই হকারদের উচ্ছেদে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে সবাইকে মাস্ক পরিধান ও তিন ফুট দূরত্ব রেখে চলাচলের যে নির্দেশনা ছিল তা মানা হচ্ছে না খুলনা হকার্স মার্কেটগুলোতে। এর মধ্যে ডাকবাংলা, বড় বাজার, শপিংকমপ্লেক্স, জলিল মার্কেটের ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে বেশি থাকে। সড়কের মাঝখানে এসব হকাররা একটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যান নিয়ে শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, বিভিন্ন ফল ও খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করছে।

এ বিষয়ে খুলনা ডাকবাংলা এলাকার ব্যবসায়ী হাসান-উল্লাহ জানান, এখানে যেসব হকার রয়েছে, এদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে ব্যবসায়ী মালিক সমিতির লোকেরা। পাশাপাশি যে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করবে, সেসব দোকানদারও নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন হকারদের কাছ থেকে। যে কারণে ফুটপাতে হকার ব্যবসায়ীদের আনাগোনা একটু বেড়ে গেছে। বর্তমানে খুলনা ডাকবাংলা মোড়ে অতিরিক্ত হারে হকার দেখা যায়। প্রশাসন মাঝে-মধ্যে একটু নজরদারি করলেও আবার এসব হকার জড়ো হয় ফুটপাতে।

সোহেল রানা নামে এক পথচারী বলেন, সড়কে অতিমাত্রায় হকার বেড়েছে। আমরা পথচারীরা কম মূল্যে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য এই হকারদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকি। যে কারণে আরো বেশি জটলা সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও বলেন, মাঝে-মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন থেকে এসব অবৈধ ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। কিন্তু আবার কয়েক দিন পর আগের মতো ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করে নেয় এসব হকার। মূলত তাদের পাশে রয়েছে একটি বড় সিন্ডিকেট, যাদের ছত্রছায়ায় এসব ফুটপাত দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আরো যানজট তৈরি হবে। নগরীর সৈান্দর্য কমে যাবে। এছাড়াও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাড়তে পারে সংক্রমণ।

এ বিষয়ে নগরবিদ জাহিদুর রহমান বলেন, যে শহরে জনগণ আনন্দের সঙ্গে হাঁটতে পারে, সে শহর হচ্ছে একটি সভ্য শহর। শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর ফের যাতে বেদখল না হয় সেজন্য নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।

মিলন নামে এক হকার বলেন, পেটের দায়ে হকারি করছি। প্রতিদিন কত টাকা দিয়ে এখানে ব্যবসা করি সব কথা বলা যাবে না। তাছাড়া ফ্রিতে তো কেউ ব্যবসা করতে দেবে না।

তবে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম (মুন্না) বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য কাজ করছে। এছাড়াও মেয়রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। তবে দ্রুত এসব ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/পিএল)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সাইকেল কেনার জন্য ৩ হাজার টাকা চুরি করে, দেখে ফেলায় দুই খালাকে খুন
ফরিদপুর সদরপুরে তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার 
তদন্ত প্রতিবেদন: মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ 
বগুড়ার শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা