তদন্ত প্রতিবেদন: মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১২ মে ২০২৫, ১৮:১১
অ- অ+

জুলাই আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ৫ টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্তপূর্বক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অপরাধের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটর বরাবর দাখিল করেছেন। সেখানে মোট তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। সেই ৩ জন হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তদন্ত শুরুর ৬ মাস ২৮ দিনের মধ্যে প্রধান মাস্টারমাইন্ড ও সুপিরিয়র কমান্ড্যান্ট হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, প্রাথমিকভাবে তার (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে মূলত ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে দুটি অভিযোগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাকিগুলো আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না।

এর মধ্যে প্রথম অভিযোগটি হচ্ছে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের উসকানি দিয়েছেন ও প্ররোচনা দিয়েছিলেন ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। যেখানে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতিপুতি এসব বলেছিলেন। এসব বলার মাধ্যমে তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অর্থাৎ সহযোগী বাহিনী হিসেবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের) হত্যা করে আহত করে অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

দ্বিতীয় যে অভিযোগটি করা হয়েছে সেটা হচ্ছে সরাসরি নির্দেশ। তদন্ত সংস্থার তদন্তে শেখ হাসিনা কিছু টেলিফোন কনভারসেশন জব্দ করেছেন।সেখানে তিনি বারবার সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী সিভিলিয়ান (নাগরিক) যারা দেশে একটা ন্যায় সংগত দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছিল তাদেরকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন ও নির্মূল করার জন্য।

এ ছাড়া বাকি ৩টি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে। যেখানে শেখ হাসিনার নির্দেশের প্রেক্ষিতে অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে। কীভাবে মানুষকে মারা হয়েছে, নৃশংসতাগুলো করা হয়েছে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘটনাকেন্দ্রিক ওই ৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দিনাজপুরের শালবনে মহাবিপন্ন ‘খুদি খেঁজুর‘ গাছের সন্ধান
সীমান্তে সেনা উপস্থিতি কমাতে একমত ভারত-পাকিস্তান
মির্জাপুরে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী বাজারে আগুন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা