কুমিল্লায় বিনোদনের নতুন হাতছানি

ময়লার স্তূপ হচ্ছে পার্ক। তবে যেনতেন পার্ক নয়। নতুন এ উদ্যানের আনন্দ উপভোগ করবেন নগরীর অর্ধলক্ষের বেশি নাগরিক। পার্কটি হচ্ছে কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা চৌমহনী এলাকায়। এই এলাকার মানুষের বিনোদনের ক্ষুধা মেটাবে নতুন এই উদ্যান- এমনটিই আশা করছেন নগরীর পূর্বাঞ্চলের মানুষ। ভিন্নরকম এই উদ্যোগের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবেন সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত ব্যয়ে তৈরি করা হচ্ছে নতুন বিনোদন কেন্দ্র।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) মেয়র মনিরুল হক সাক্ক বলেন, আমি আমার প্লেট বিক্রি করে নতুন এই পার্কের টাকা জোগাড় করেছি। আমার নগরীর ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ডের তেলিকোনা, শুভপুর, সংরাইশ, টিক্কারচড়, বালুধুম, কাটাবিল, কাশারিপট্টি, চকবাজার, পাথরিয়াপাড়া, বারপাড়া, নূরপুর, হাউজিং ও কাছাকাছি এলাকাসহ নগরবাসীর জন্য এ বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। এসব এলাকার নাগরিকদের বিনোদনের কোন জায়গা নেই। তারা যদি ধর্মসাগর পাড়ে আসতে চায় তাও অনেক ব্যয়বহুল। এই এলাকাগুলোতে তুলনামূলক গরিব মানুষ বেশি। তাছাড়া সুইপার শ্রেণির ছেলে-মেয়েগুলোর জন্য তেমন কোন বিনোদনের জায়গা নেই। আমরা এই পার্কটি করতে পারলে তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব থাকবে। ঢেকি, কাঠের ঘোড়া, স্লিপার, দোলনাসহ অবৈদ্যুতিক সকল রাইড থাকবে যেগুলোর প্রত্যেকটি হবে বিনামূল্যে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১৬ ডিসেম্বরের আগেই পার্কটি উদ্বোধন করব।
শুভপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মাদ শাহীন বলেন, নগরীর পূর্বাঞ্চল কিছুটা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সময় হাতে থাকলে টাকা থাকে না, টাকা থাকলে সময় থাকে না এখান থেকে ধর্মসাগরের পাড়ে যাওয়ার। যদি তেলিকোনা এলাকায় পার্ক হয়, এলাকাবাসীর উপকার হবে।
১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসান মিয়া বলেন, এখানের মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি পার্ক তৈরি। পৌরসভা থাকাকালে আমরা চেয়েছিলাম একটি বিনোদন কেন্দ্র হোক। আমরা গত ৩০ বছর যাবত এখানে একটি বিনোদন কেন্দ্রর দাবি করে আসছিলাম। এবার আমাদের ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে। এখন মেয়র সাহেব পার্ক তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন। প্রতিদিন হাজারো মানুষের পদচারণা থাকবে নতুন পার্কে।
(ঢাকাটাইমস/৩ডিসেম্বর/এলএ/এসএ)

মন্তব্য করুন