প্রার্থীর দাবি অব্যাহতি পেয়েছেন

বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর মামলার আসামির হাতে নৌকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:০৯

স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে দলীয় কোন্দলে জড়াচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্তরাও পাচ্ছেন নৌকার মনোনয়ন। এর মধ্যেই পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামি নৌকা পেয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।

টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার আবারো নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন দলের আরেকটি অংশের নেতাকর্মীরা। অবশ্য মামলায় ১ নম্বর আসামি হলেও কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন রিপন জমাদ্দার।

২০১৬ সালের ওই মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। রিপন জমাদ্দার খালাস পাওয়ার দাবি করলেও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার শুনানি আছে।

এব্যাপারে রবিবার রাতে রিপন জমাদ্দার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এই ঘটনায় মামলা হলেও আদালত আমার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অব্যাহতি দিয়েছেন। অথচ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। আশা করি জনগণ সত্যের পক্ষে থাকবেন।’

জানা গেছে, পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার আবারও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই ইউনিয়নে আরও কয়েকজন আগ্রহী প্রার্থী ছিলেন। যারা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সমর্থিত।

এদিকে মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর টিকিকাটা ইউনিয়নের বাইশকুড়া বাজারের একটি ক্লাবে স্থানীয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল আকনকে মারধর ও ক্লাবে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা আকনের বাবার করা মামলায় প্রধান আসামি রিপন। এ মামলায় রিপনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রও দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটির বিচার চলছে।

অবশ্য রিপনের দাবি, এই মামলায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আদালত আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘মঠবাড়িয়ার কিছু রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে তখন আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। আমি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসি। মামলার অভিযোগ মিথ্যা হওয়ায় আদালত আমাকে প্রথম হাজিরাতেই জামিন দিয়ে দিয়েছে। এমনকি মামলা থেকে আমার নাম বাদও দেয়া হয়েছে। এবার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের আগে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানিয়ে আবেদনও দিয়েছিলাম।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র রফিক উদ্দিন ফেরদাউস ঢাকাটাইমসকে বলেন, টিকিকাটায় যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে চেয়ারম্যান পদে সে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর মামলার আসামি বলে জানি। যদিও মনোনয়নের তালিকা পাঠানোর সময় বিষয়টি স্মরণ ছিল না।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে দুটি গ্রুপের মধ্যে কোন্দল বেশ পুরানো। একাধিকবার সংঘর্ষও হয়েছে নিজেদের মধ্যে। উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান একটি পক্ষ। অন্য গ্রুপে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/বিইউ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :