ফের অস্থির বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ মে ২০২৪, ১৪:২৯

আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। একমাসের তাপপ্রবাহে খামারিদের মুরগি মারা যাওয়ায় ডিমের সরবরাহ কমে বেড়েছে দাম। টানা তাপপ্রবাহে রোদ ও গরমে ক্ষেত থেকে সময়মতো সবজি উঠাতে না পারায় এবং এর পরে বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়ায় সরবরাহ কমে বাজারে দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোক্তারা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউনহল কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এছাড়া মুরগির মাংসের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। গরু এবং খাসির মাংস আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। কিন্তু সপ্তাহ ব্যবধানেই ২০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। শসা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ঝিঙা ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। ঢেঁড়স গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, করোলা ৬০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দুল ২০ টাকা বেড়ে চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ৪০ টাকা কেজির টমেটোর দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।

এছাড়া গাজরের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। বেড়েছে বরবটির দামও। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি।

তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে জালি কুমড়া। প্রতি পিস ৬০ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে মানভেদে ১৩০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।

দাম বাড়ায় পিছিয়ে নেই পেঁয়াজও। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৬ টাকা।

সবজি কিনতে আসা স্কুলশিক্ষিকা ফারাহ নাজ ঢাকা টাইমসকে বলেন, “প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ছে। গত সপ্তাহে যে দামে সবজি কিনে নিয়ে গেলাম আজ একই সবজি বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এক সপ্তাহে এত বেড়ে গেল কীভাবে?”

সবজির বাজারের অভিজ্ঞতা ভালো না থাকায় অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলে, “ঢেড়শের কেজি ১০০ টাকা হয়ে গেছে। সব সবজির দামই অতিরিক্ত। কিন্তু কিনতে তো হবেই।”

টানা তাপপ্রবাহ এবং বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়ছে জানিয়ে বিক্রেতা মো. জাকির ঢাকা টাইমসকে বলেন, “বৃষ্টি হইছে। এতদিন রোদ আর গরম ছিল। কৃষক ক্ষেতের সবজি ঠিক টাইমে উঠাইতে পারে নাই। তাই সব সবজিই কম আসতেছে বাজারে। দামও বাড়তেছে।”

এদিকে গত মাসে টানা তাপপ্রবাহে মুরগি মারা যাওয়ায় সরবরাহ কমে দাম বাড়ছে প্রতি সপ্তাহেই। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকায়। কিন্তু চলতি সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। সোনালি মুরগি আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ৩৯০ টাকায়। দেশি মুরগিও আগের বাড়তি দামে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউ মডার্ন ব্রয়লার হাউজের মো. মনির ঢাকা টাইমসকে বলেন, “মুরগির দাম এখন প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে। কিছু করার নেই। খামারে মুরগি মরতেছে। মুরগি কম আসছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

ঈদের পর গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস মানভেদে ৯০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে ডিমের দাম বাড়ছে প্রতি সপ্তাহেই। গরমে মুরগি মারা যাওয়ার প্রভাব ডিমের ওপর পড়েছে বেশি। সপ্তাহের ব্যবধানেই ডিম প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডজনপ্রতি ছিল ১৩০ টাকা। চলতি সপ্তাহে বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের বাড়তি দামের বিষয়ে বিক্রেতা মোকলেস মোল্লা ঢাকা টাইমসকে বলেন, “গরমে মুরগি মারা গেছে। ডিমের সাপ্লাই কম। এজন্য দাম কিছটা বাড়তির দিকে।”

(ঢাকাটাইমস/১০মে/টিএ/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :