সংক্রমণের রেকর্ডের মধ্যেও কেন লকডাউন চান না পরামর্শক কমিটির সদস্য

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের শনাক্তের হার রেকর্ড ভাঙছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে ৈ বৈশ্বিক মহামারির নতুন ধরন ওমিক্রন। শুক্রবার দেশে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ অবস্থায় সংক্রমণ রোধে অনেকেই লকডাউনের কথা বলছেন। তবে লকডাউনের পক্ষে নন করোনা বিষয়ক ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’র সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
ঢাকা টাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এ অভিব্যক্তি জানিয়েছেন এই সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ। তার পরামর্শ, সবকিছু খোলা রেখে কেবল স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের দিকে নজর দিতে হবে। ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনে কোনো লাভ নেই, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। যে ঝামেলাগুলো হচ্ছে, এগুলো কন্ট্রোল করতে হবে। আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমরা তো নির্দেশ দিতে পারি না। তারা যদি পরামর্শ না পালন করে তাহলে কেমন করে হবে? লকডাউনে কোনো কাজ হবে না। লকডাউনে শুধু মানুষের ভোগান্তি হয়।’
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের কারণে কিছু কিছু কাজ হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা নিয়মিত হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে হচ্ছে। যদি ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মোড়ে মোড়ে মোবাইল কোর্ট দেওয়া যেত তাহলে অনেক কাজ হতো।’ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যে গত ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে দৃষ্টি আর্কষণ করলে এই ভাইরোলজিস্ট বলেন, দশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়তো তারা ৬ ফেব্রুয়ারি খুলে দিবে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রয়োজন মনে করি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে বাচ্চারা মেলায় যাবে। তখন অবস্থা আরো বেশি খারাপ হবে।’
বাংলাদেশ ছড়িয়ে পড়া কোভিডের নতুন ধরন ওমিক্রন ও কোভিডের টিকা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের এই সাবেক ভিসি বলেন, ‘কোভিডের টিকা নেওয়ার পরেও প্রাণহানির ঘটনা যেগুলো ঘটছে, খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের হার্ট বা কিডনি, ডায়বেটিস কিংবা অন্য ধরনের সমস্যা আছে। এজন্য প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তবে ওমিক্রনে প্রাণহানির ঘটনা কম। সংক্রমণ হার যেমন সেভাবে কিন্তু হাসপাতালে রোগী নেই। এর মানে হলো ঝুঁকিটা কম। ওমিক্রণ হয়ে যদি কেউ ভালো হয়ে যায় তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেল। তার সঙ্গে যদি ভ্যাকসিন নেওয়া হয় তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বেড়ে গেল।’
ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/কারই/আইএম/মোআ
সংবাদটি শেয়ার করুন
জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
জাতীয় এর সর্বশেষ

কুসিক, ৬ পৌরসভা, ১৩৮ ইউপিতে ভোট: মনোনয়ন দাখিল শেষ আজ

হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

‘ভারতে বিচার শেষে পি কে হালদারকে দেশে আনা যেতে পারে’

‘পি কে হালদারকে ফেরাতে সব ধরনের চেষ্টা করবে দুদক’

এক দিনে ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই

‘শ্বেতপত্রটি সারবত্তাহীন, কমিশন বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক চিহ্নিতের চেষ্টা করছে’

এসডিজি অর্জনে উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ইউনিয়ন পরিষদকে আরও কার্যকর করতে হবে: এনামুল হক শামীম
