সাতক্ষীরায় ১ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

সাতক্ষীরার ভোমরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ৪ বন্ধু মিলে ওই গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা গৃহবধূর প্রথম স্বামী নিয়ে ঘর সংসার করছিল। তাদের ঘরে ১০ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ধর্ষিতা ভোমরার বিভিন্ন পেঁয়াজের আড়তে শ্রমিকের কাজ করতো। সেই সুবাদে লহ্মীদাড়ী গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আফজাল হোসেনের (৩০) সাথে পরিচয় হয়।

পরিচয় সূত্রে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ। এক পর্যায়ে আফজাল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখালে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেয় গৃহবধূ। এরপর আফজাল তাকে ভোমরার বাবু মার্কেটের পাশে ঘরভাড়া নিয়ে ধর্ষিতা ওই গৃহবধূকে রাখে। আফজাল তাকে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে তাকে ধর্ষণ করার সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। আফজালের বন্ধু লহ্মাদাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র মো. রায়হান (২৫) একই গ্রামের শহীদুল ইসলামের পুত্র মো. মাসুদ (২৫), আবু সাঈদের পুত্র মো. আলম (৩৫) ও মৃত ফজর মাস্টারের পুত্র আশিক (৪০) এদের ওই অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ দেন। আফজালের বন্ধুরা ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই গৃহবধু জানায় আফজালসহ তার ৪ বন্ধু সকলেই ইয়াবাতে আসক্ত এবং সকলেই ইয়াবা ব্যবসায়ী। এঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধু সাতক্ষীরা সদর থানায় এসে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষক মো. রায়হান ও মো. আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। অপর আসামি মো. মাসুদ ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আসাদুজ্জামান জানান, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে ধর্ষিতা গৃহবধূ জানান, মামলার পর থেকে আসামিরা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে মোবাইলে। জীবনের ভয়ে সন্তান নিয়ে ওই ধর্ষিতা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/এআর)