সুনামগঞ্জে পীর হাবিবের স্মরণ সভা

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০২২, ২১:১৬

সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক ও দেশবরেণ্য সাংবাদিক, সুনামগঞ্জের কৃতিসন্তান পীর হাবিবুর রহমানের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল পৌণে ৪টায় সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (বালুর মাঠে) সুনামগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে এই নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকসহ নানান শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখতের সভাপতিত্বে শোকসভায় স্বাগত বক্তব্য দেন- সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

শোকসভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, পীর হাবিব একজন লড়াকু সৈনিক। তিনি সুনামগঞ্জ জেলাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার সাথে পরিচয় ২০১০ সালে। তিনি আমাকে সুনামগঞ্জের লোক হিসেবে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আওয়ামী লীগের যোগ দেয়ার পর তিনি আমাকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, যখনই পীর হাবিব লিখত, আমার সম্পর্কে লিখত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত লেখা লিখেছেন, তার চেয়ে আমার সম্পর্কেও কম লিখেননি। অনেক কিছুই লিখেছেন। আমি যেভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, হাবিবও আমার বোন শেখ হাসিনার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন, আর সেটাই তার জন্য কাল হয়েছে। তিনি সবসময় মানুষকে খুব বেশি ভালবাসতেন।

কিছুটা অভিমানের সুরে তিনি বলেন, যুদ্ধে আমার কোনও অবদান নেই। আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম শুধু মা-বোনের ইজ্জত রক্ষার জন্য। আমি আমার মায়ের সন্তান। আজকাল বিয়ে করে যৌবনকালে মাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আজ হাবিবের জন্য দোয়া করতে এসেছি। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি জীবনে যদি কোনও ভাল কাজ করে থাকি, তাহলে সেই কাজের উছিলায় যেন হাবিবকে আল্লাহ জান্নাত দান করেন।

জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রয়াত পীর হাবিবের জন্মের সাথে বাংলাদেশের মিল আছে। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের কলমযোদ্ধা। অনেকেই বলেন, সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থাকতে হয়, আমি এ কথা মানি না। পক্ষ থাকতে হবে, সেটা বাংলাদেশের পক্ষে।

ইনু বলেন, পীর হাবিব কারো সাথে কখনই আপস করেননি। তিনি সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। সে দুই হাত খুলে লিখতেন। অনেকের হাতে কলম আছে, কিন্তু সবাই লিখতে পারেন না। কিন্তু পীর হাবিবের লেখনির মাধ্যমে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হতো। খুব কম লোক রয়েছে, যারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে। পীর হাবিবের সাংবাদিকতায় ভিন্নতা রয়েছে। তিনি গল্পের ঢংয়ে লিখতেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, তার সাথে আমার পরিচয় ২০০৯ সালে। তিনি একটি টেলিভিশন টকশো করতেন সেখান থেকে আমার পরিচয় হয়। তবে তার লেখার সাথে অনেক পূর্বেই পরিচয় ছিল। তিনি একজন ভাল নীতিবান মানুষ। তার সুনামগঞ্জের পৈত্রিক বাড়ি দেখলেই বোঝা যায়।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, পীর হাবিব সাধারণ মানুষের পক্ষে লিখেছেন। আমি চলে গেলে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু পীর হাবিব মারা যাওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। বাংলাদেশের মানচিত্রের আকাশে শকুন ঘুরছে, তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। কিন্তু লেখকরা চলে যাচ্ছেন, কে লিখবেন- শেখ হাসিনার কথা। পীর ভাই যেমন লিখেছেন, তেমনি আমরাও যেন সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :