চুয়াডাঙ্গায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে উপজেলার তিওরবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷ হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ জাহাঙ্গীর আলম তিওরবিলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

জাহাঙ্গীরের বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদের দিন বিকালে এলাকার মৃত তালুক মণ্ডলের দুই ছেলে ঠান্ডু ও বান্টু সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজনা করছিল। আমার ছেলে নামাজি হওয়ায় তাদের গান বন্ধ করে দেয়। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে পরে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এরই জের ধরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার ছেলেকে ঠান্ডু, বান্টু, ফাতেহ আলী, জীবন ও বসিরসহ কয়েকজন স্থানীয় একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে অচেতন অবস্থায় গ্রামের মুকুল দায়ের মুদিখানা দোকানের পাশে রেখে যায়। পরে টহল পুলিশ আমাদের খবর দিলে আমরা হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান বলেন, রাতে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তিনি শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মাইকে গানবাজনা বন্ধ করে দেয়ায় জাহাঙ্গীরকে বেধড়ক মারধরের বিষয়টি জেনেছি। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪মে/এলএ)