কমলাপুর স্টেশনে আজ যে ‘ইতিহাস’ ঘটে গেছে
নজিরবিহীনভাবে আজ চাপমুক্ত পরিবেশে ঈদ যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। গত ১ জুলাই টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর টানা চারদিন ছিল যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। অনেকে আগের দিন রাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটের জন্য। অনেকে দাঁড়িয়েছেন ভোরে। তবু কাঙ্ক্ষিত টিকিট মেলেনি অনেকেরই। এ পরিস্থিতিতে টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেক যাত্রী। কিন্তু মঙ্গলবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। আজ নেই কোনো ভিড়, নেই সারি। স্টেশনে এসেই টিকিট পেয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। কোনো যাত্রীর কাছে এটা একটা ‘ইতিহাস’।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে।
পঞ্চম দিন মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এদিন দেওয়া হচ্ছে ৯ জুলাইয়ের টিকিট।
সরেজমিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি নেই। ১ জুলাই টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত রেলস্টেশনে ছিল যাত্রীদের ঢল। সেই তুলনায় আজ কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় নেই বললেই চলে। স্বস্তিও লক্ষ্য করা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের মাঝে।
টিকিট কিনতে আসা সোহাগ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আজ তো এক ইতিহাস ঘটে গেছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। যাত্রীদের নেই চাপ। আমি গতকাল আসছিলাম জামালপুরের টিকিট কিনতে। কিন্তু মানুষের ঢল দেখে বাসায় ফিরে গিয়েছিলাম। তবে আজ আসার পর দেখি, যাত্রীদের চাপ নেই। খুব সহজে ট্রেনের টিকিট কিনেছি।’
রুহান খন্দকার ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আজকে খুব ভালো লাগছে। কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ নেই। আসার সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে গেছি রংপুরের টিকিট।’
ফাহমিদা রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আনন্দ লাগছে ৯ তারিখের টিকিট পেয়ে গেছি। পঞ্চগড় আমার বাড়ি। গত কয়েকদিন লাগাতার আসার পরও ট্রেনের টিকিট পাইনি, যাত্রীদের ভিড় দেখে মনে হয়েছিল, মনে হয় বাড়ি গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারব না। তবে আজকে খুব অল্প সময় লেগেছে টিকিট সংগ্রহ করতে।’
তথ্য সহকারী জাহিদুল হক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে। তবে আজকে চাপ একদমই কম। ঈদের সময় যে চাপ থাকার কথা সেটা দেখা যাচ্ছে না। যাত্রীদের মুখে হাসি দেখে ভালো লাগছে।’
(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/পিআর/এফএ)