শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা
হেনোলাক্স আমিন ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শরীরে আগুন দিয়ে কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক নূরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির শাহবাগ থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করেন গাজী আনিসের বড় ভাই গাজী নজরুল ইসলাম।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন খাঁন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা গাজী আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। ছয় ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় আনিস তিন কন্যা সন্তানের জনক। ঠিকাদারি ব্যবসার পাশাপাশি সাহিত্যকর্মী হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যাটমিন্টন খেলার মাঠে নিজের গায়ে আগুন দেন আনিস। তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
হেনোলাক্স গ্রুপ থেকে টাকা ফেরত না পাওয়ার বিষয়ে গত ৩১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে গাজী আনিস সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোর লোভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা নেয় হেনোলাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. ফাতেমা আমিন।
গাজী আনিস বলেছিলেন, ২০১৬ সালে পরিচয়ের পর একপর্যায়ে হেনোলাক্স গ্রুপের সঙ্গে ব্যবসায়িক পার্টনারশিপের সিদ্ধান্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজী আনিস ব্যবসায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে লভ্যাংশসহ তিন কোটি টাকা তাকে দেওয়ার কথা। কয়েক দফায় লাভের অংশ থেকে ৭৪ লাখ টাকা দিলেও অবশিষ্ট ২ কোটি ২৬ লাখ (লাভসহ) টাকা ফেরত দেয়নি। এ নিয়ে তিনি কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলাও করেছেন।
গাজী আনিসের বড় ভাই গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই হেনালোক্স গ্রুপকে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাবে। ব্যবসায়িক অংশিদার করার লোভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল। পরে হেনোলাক্স গ্রুপ সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিল।’
(ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এএ/ডিএম)