দ্বিগুণ বন্দি নিয়ে ধুঁকছে ফরিদপুর জেলা কারাগার, চিকিৎসায় সংকট

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০২২, ১৩:১৮| আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২২, ১৩:৪৭
অ- অ+
বিপুল বন্দিদের জন্য টিনশেড ঘরের একটি কক্ষ রোগীদের জন্য রাখা হলেও সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী। ফরিদপুর জেলা কারাগার (ছবি: ঢাকাটাইমস)

ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি ও চিকিৎসা সেবা সংকটে জর্জরিত ফরিদপুর জেলা কারাগার। প্রাচীন এ কারাগারে বন্দিদের কেউ অসুস্থ হলে সেখানে থেকেই চিকিৎসা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিপুল বন্দির জন্য টিনশেড ঘরের একটি কক্ষ রোগীদের জন্য রাখা হলেও সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী।

কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘এ কারাগারে ৪২০ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে ৯১৪ জন কারাবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ৮৯৭ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী। এছাড়া বন্দিদের চিকিৎসা সেবার জন্য সার্জনের একটি পদ রয়েছে, এটি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শূন্য।’

তিনি বলেন, ‘বন্দিদের কেউ অসুস্থ হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন অফিস একজন চিকিৎসককে প্রেষণে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি মাঝে মধ্যে আসেন। একজন সিনিয়র ফার্মাসিস্ট রয়েছেন। বন্দি কোনো রোগীকে বাইরের হাসপাতালে পাঠাতে হলে তার সঙ্গে তিনজন পুলিশ দিতে হয়।’

কারাগারের প্রাথমিক চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট আশরাফুল আলম ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘এ কারাগারে বন্দিদের জন্য অন্তত দুই থেকে তিনজন চিকিৎসক প্রয়োজন। এছাড়া অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসায় একটি হাসপাতাল দরকার।’

কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাসে বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন ১০৫০ জন বন্দি। বর্তমানে দুজন বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া গত এক মাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন।

কারা পরিদর্শক কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ফরিদপুর কারাগারের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বন্দি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বন্দিদের নানা সমস্যা হয়, এটা সত্য। কারাগারের বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।’

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একজন চিকিৎসকে কারাগারের সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিয়মিত কারাগার পরিদর্শন করা হয়, বন্দিদের সুবিধা ও অসুবিধার খোঁজ নেওয়া হয়। বড় কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

প্রসঙ্গত, এ কারাগারটি ১৮২৫ সালে ৩৪ একর জায়গা নিয়ে ঝিলটুলী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে ৯ একর জায়গায় বন্দিদের থাকার জন্য ভবন নির্মাণ করা হয়। এছাড়া বাকি ২৫ একর জায়গায় রয়েছে পুকুর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের ব্যবস্থা।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এসএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা