বাবুল আক্তারের মামলা গ্রহণ হবে কি না জানা যাবে ২৫ সেপ্টেম্বর

পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলার বিষয়ে আদেশের সময় পিছিয়েছে। আদালত আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছিল। এই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে কি না তা নিয়ে আদেশের জন্য আজ সোমবার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর আদালত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’
এর আগে বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩-এর ১৫ (১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, রিমান্ডে থাকাকালে তদন্ত কর্মকর্তাসহ অন্যরা বাদীকে গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন। এভাবে ১৭ তারিখ পর্যন্ত স্বীকারোক্তি আদায়ের উদ্দেশে সারাক্ষণ চোখ বেঁধে, হ্যান্ডকাপ পরিয়ে, না ঘুমাতে দিয়ে, গোসল করতে না দিয়ে, পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দিয়ে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করে তাকে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দিয়ে নির্যাতন করা হয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন নেছার আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী। ওই দিন আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন (১৯ সেপ্টেম্বর) ধার্য করেন। কিন্তু আজ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন নেছা ছুটিতে থাকায় নতুন তারিখ ধার্য করা হয়।
মামলায় আসামি করা হয়েছে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা ও এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম এবং সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে পিবিআই জেলা অফিস ও মেট্রো রুমে আটকে রাখা হয়। এ সময় আসামিরা বাদীকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি না দিলে বিপদ আছে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া পরিবারের বিপদ আছে বলেও শাসায়।
ওই বছরের ১২ মে বাবুল আক্তারকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এসময় হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদের নামে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয় বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী ১০ অক্টোবর মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
আদালত এর সর্বশেষ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করলেন হাইকোর্ট

মানবতাবিরোধী অপরাধ: বাগেরহাটের খান আকরামসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার রায় আজ

যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা, হাইকোর্টের নজরে আনলেন আইনজীবীরা

নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: আত্মসমর্পণের পর কারাগারে সাবেক মেয়র মুক্তি

অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রুপনের সাত বছর কারাদণ্ড, সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ

এনু-রুপনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের আরেক মামলার রায় আজ

দুই দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা দুদু ও স্বপন
