প্রতীক বরাদ্দের সময় মার্কা নিয়ে মারামারি: দুই প্রার্থীকে শোকজ

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৫৩

নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে প্রতীক বরাদ্দের সময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর সহকারী রিটার্নি অফিসার ও জেলা নিার্বচন অফিসার মো. জসিম উদ্দিন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ফকরুল হাসান,জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি কাজী ইসমাইল হোসেন লিটন, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আজাদ রহমান,জেলা পরিষদ’র সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম,আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রস্তাবক শরিফুল ইসলাম ও সমর্থক সৈয়দ নবাব আলীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোসের সমর্থকরা মারপিট করেন। এর আগে দুজনেই তালা মার্কা চাওয়া নিয়ে ২নং ওয়ার্ডের (নড়াইল সদর) সাধারণ সদস্য প্রার্থী উবায়দুর রহমান এবং খোকন সাহার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের সামনে মারামারির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ সময় বক্তব্য দেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নিার্বচন অফিসার মো. জসিম উদ্দিন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে প্রতীক বরাদ্দের কাজ সম্পন্ন করেন তিনি ।

প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। স্বতন্ত্র লড়ছেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু এবং সুলতান মাহমুদ।

এছাড়া ৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ১১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএমর মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নিার্বচন অফিসার মো. জসিম উদ্দিন জানান,হাতাহাতি করার ঘটনায় জড়িত দুজন প্রার্থী খোকন সাহা ও উবায়দুরকে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারণ দশার্নোর নোটিশ করেছেন।

আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, প্রার্থী লিটুর পক্ষে কিছু উচ্ছৃংখল লোকজন এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিরীহ আ.লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টা করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকায় তার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোনো হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এর লোকজন অতর্কিতে তার প্রস্তাবক ও সমর্থক সহ তার অনুগতদের উপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়ে আরোও বলেন,অনেক আগে থেকেই তাকে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে নির্বাচন না করার জন্য।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :