মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বহু উদ্যোগ নিলেও মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছার অভাবে সেটি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তার দেওয়া ভাষণে এ বিষয়টি তুলে ধরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘকে কার্যকর ও জোরালো ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো এ সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান সরকারপ্রধান।
জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে ওয়াশিংটন ডিসিতে কয়েক দিন কাটিয়ে মঙ্গলবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর এক দিন পর সংবাদ সম্মেলনে এলেন সরকারপ্রধান।
যেকোনো দেশে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে থাকেন। এর আগে সবশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সরকারপ্রধান।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘে তার ভাষণের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে ও নিরাপদে তাদের নিজ দেশে ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য জাতিসংঘকে কার্যকর ও জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’
(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/ডিএম)