বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপ, যার এক ছোবলে মরতে পারে ১০০ মানুষ!

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:০৬| আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:১০
অ- অ+

ইনল্যান্ড তাইপান। বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপ। বসবাস অস্ট্রেলিয়ায়। এই সাপের এক ছোবলে ১০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মারা যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীতে ৬০০টি বিষাক্ত প্রজাতির মধ্যে কেবল মাত্র ২০০ প্রজাতির সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়।

সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইনল্যান্ড তাইপান। তাই এই সাপ দেখলেই দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম ওয়েবসাইটের মতে, ইনল্যান্ড তাইপান একটি হিংস্র সাপ এবং সর্প বিশেষজ্ঞদের অনেকেই একে বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপ বলে মনে করেন। ‘ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল’-এর ‘স্কুল অব কেমিস্ট্রি’র ওয়েবসাইটেও সবচেয়ে বিষধর সাপের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইনল্যান্ড তাইপান।

এই সাপ লম্বায় মূলত মাঝারি থেকে বড় মাপের হয়ে থাকে। এদের মাথা আয়তক্ষেত্রাকার। ইনল্যান্ড তাইপান লম্বায় মূলত মাঝারি থেকে বড় মাপের একটি সাপ। এদের মাথা আয়তক্ষেত্রাকার। ভোরের দিকে এই সাপ সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। দিনের বাকি অংশে মাটির গভীর ফাটল এবং অন্য পশুদের গর্তের মধ্যে থাকে।

কিন্তু কেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন যে ইনল্যান্ড তাইপানই বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর একটি সাপ? এই সাপের বিষের তীব্রতাই বা কতখানি? সাপের বিষ মাপা হয় এলডি৫০ স্কেলে। এই স্কেল সাপের বিষের ক্ষমতা নির্ধারণ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনো সাপের থেকে ইনল্যান্ড তাইপানের বিষ অনেক বেশি তীব্র। ‘ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল’ বলছে, তাইপানের কামড়ে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ বিষ বের করতে দেখা গেছে তা হল ১১০ মিলিগ্রাম। এই পরিমাণ বিষ ১০০ জন মানুষ বা আড়াই লাখ ইঁদুর মারার জন্য যথেষ্ট।

তবে অস্ট্রেলিয়ার বাইরে এই তাইপানের খুব একটা দেখা মেলে না। বনাঞ্চলেও খুব একটা দেখা মেলে না এই সাপের। সাধারণত লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে এবং দিনের বেলায় গর্তে ঢুকে থাকে।

ইনল্যান্ড তাইপানের বিজ্ঞানসম্মত নাম অক্সিউরানাস মাইক্রোলেপিডোটাস। অভ্যন্তরীণ তাইপানের গড় দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৮ মিটার (৫.৯ ফুট)। যদিও এর দৈর্ঘ্য ২.৫ মিটার (৮.২ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে। তাইপানের বিষদাঁত ৩.৫ থেকে ৬.২ মিলিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়।

তাইপানের গায়ের রং চকচকে গাঢ় বাদামি এবং হালকা সবুজ বর্ণের হয়। চোখের রংও গাঢ় বাদামি রঙের। তাইপান একসঙ্গে এক ডজন থেকে দুই ডজন ডিম পাড়ে। দুই মাস পর সেই ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। ডিমগুলো সাধারণত পরিত্যক্ত প্রাণীর গর্ত এবং গভীর ফাটলে পাড়া হয়।

এই সাপের প্রজনন হার তাদের খাদ্যের উপর আংশিক ভাবে নির্ভর করে। পর্যাপ্ত খাবার না থাকলে কম প্রজনন করে। এই সাপ গড়ে ১০ থেকে ১৫ বছর বেঁচে থাকতে পারে। তবে অস্ট্রেলিয়ার একটি চিড়িয়াখানায় একটি ইনল্যান্ড তাইপান ২০ বছরেরও বেশি বেঁচে ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টয়োটার ব্যবসা হারাচ্ছে নাভানা?
সারজিস বনাম নওশাদ: ভোটে কার পাল্লা ভারি?
মনোহরদীতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা গণধোলাইয়ের শিকার
গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদও জয় করব: নাহিদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা