কাস্টমসে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ২৩

লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সিপাহি পদে মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা ২৩ জনকে আটক করে তাদের পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করেছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।

এর মধ্যে বুধবার সকালে ৫ জন এবং আগের দিন মঙ্গলবার ১৮ জনের বিরুদ্ধে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে নগরের পাহাড়তলী থাকায় দুটি পৃথক মামলাও করেছেন।

আটক চাকরিপ্রার্থীরা হলেন: মো. আবুল বাশার (রোল-১১০৯৯), মো. এনামুল হক (রোল-১২৭৫২), মো. শহীদুল ইসলাম (রোল-১০৮৩২), মো. রফিকুল ইসলাম (রোল-১৩৭৬২), মো. আব্দুর রশিদ (রোল-১৫০১১), সবুজ চন্দ্র (রোল-১৩০৭৬), জয় চন্দ্র দে (রোল-১১২৩৪), আবুল মিয়া (রোল-১২৪১৬), মো. মোবারক হোসেন (রোল-১২৫৬৬), মো. আক্তারুজ্জামান (রোল-১৭০৭৭), মো. খলিলুর রহমান (রোল-১৪১৭২), মো. আরিফুর রহমান (১৫১৫৩), মো. সূজন সরকার (রোল-১৬৪৮৯), নিতোষ চাকমা (রোল-১৭০৭৪), মো. সোহেল রানা (রোল-১৯৯১৭), মো. ইলিয়াছ (রোল-১৯৭৬০), কাজী দেলোয়ার হোসেন (রোল-১৯৯৮৯), মো. মহি উদ্দিন (রোল-১০২০৬)।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার তারেক হাসান বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে সিপাহি পদে লিখিত পরীক্ষার জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা দিতে আসা ২৩ জনকে আটক করে আমরা পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করেছি। নিয়োগ কমিটি জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসুক। কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই।

কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, সিপাহি পদে নিয়োগ দেয়া হবে ৯৮ জনকে। এর বিপরীতে ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫০ জন প্রার্থী গত সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয় মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়ায় ২৩ জনকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নানা জটিলতায় পরীক্ষাটি নেয়নি কাস্টমস। প্রায় আট বছর পর পরীক্ষা হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের ছবির সঙ্গে বর্তমান চেহারার অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র মূল প্রার্থীর বদলে অন্যজনকে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছে বলে ধারণা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/এলএ)