বাংলালিংক ও বিকাশ এজেন্টের ভয়ঙ্কর চক্র

রাজধানীতে বাংলালিংক ও বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার ভোরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন- খোরশেদ আলম, ফয়সাল হাসান ফাহিম, আনোয়ার পারভেজ ভূঁইয়া, মমিনুল ইসলাম এবং নজরুল ইসলাম।
খোরশেদ আলম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের এজেন্ট। বাকিরা বিকাশের এজেন্ট এবং দোকানদার। অভিযুক্তদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ৫৪টি সিম উদ্ধার করা হয়।
মিরপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারক এই চক্রের মূল হোতা খোরশেদ আলম। তিনি বাংলালিংকের মার্কেট অপারেশন ডিস্ট্রিবিউটরের একজন এজেন্ট। তিনি মূলত বাংলালিংকের সিম নিবন্ধক। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সিম বিক্রি করেন। এজেন্ট হওয়ার সুবাদে তিনি বিভিন্ন বস্তি এলাকায় গিয়ে কৌশলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন।
সংগৃহীত এসব ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম ইস্যু করেন। এই সিম তিনি বিক্রি করেন বিকাশ এজেন্ট আনোয়ার ও ফয়সালের কাছে। সাধারণত একটি সিম ৬০ টাকা হলেও এসব সিম খোরশেদ বিক্রি করেন ২০০ টাকায়। পরবর্তীতে এসব সিম আবার ৩০০ টাকায় আনোয়ার ও ফয়সালের কাছ থেকে কিনে নেন বিকাশ দোকানদার মোমিনুল। এসব সিম থেকেই বিকাশ এজেন্ট, কর্মকর্তা সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।
মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি মাহতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার বিকাশ নম্বরে ১২ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। বাসায় ফেরার পর তাকে বিকাশ এজেন্ট সেজে ফোন করে জানানো হয়, ক্যাশ ইন করার সময় ভুল নম্বরে টাকা চলে যাওয়ায় মাহতাফের একটি নম্বর লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই লক খোলার জন্য ওটিপি নম্বর লাগবে; যা মাহতাফের নম্বরে পাঠানো হয়েছে। মাহতাফ সেই নাম্বার বলার পর দেখেন তার বিকাশ থেকে ৪৭ হাজার ৯৪০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ওই নম্বরে ফোন করলে সেটাও বন্ধ পান। পরে মিরপুর থানায় অভিযোগ করেন। এরপরই পুলিশ রবিবারে ভোর সাড়ে ৪ টায় খোরশেদ আলমকে ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এসএস/এসএম)

মন্তব্য করুন