হিরো আলম ফাউন্ডেশনে প্রথম অনুদান এলো লাখ টাকা!

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৫ | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:১৪

সম্প্রতি নিজের নামে ফাউন্ডেশন খুলেছেন সামাজিক মাধ্যমের ভাইরাল ব্যক্তি হিরো আলম। নাম ‘হিরো আলম ফাউন্ডেশন’। এক সপ্তাহ না যেতে সেই ফাউন্ডেশনে এলো লাখ টাকা অনুদান! মঙ্গলবার হিরো আলমের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন খান ডটকম ওভারসিস ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-এমডি এম এ কাশেম খান।

চেক গ্রহণের সময় হিরো আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা একটি ফাউন্ডেশন খুলেছি, সেখানে দেশ-বিদেশের সবাইকে আমি পাশে চাই। তারই অংশ হিসেবে আমাদের ফাউন্ডেশনে প্রথম অনুদান দিলেন খান ডটকম ওভারসিস লিমিটেডের এমডি কাশেম ভাই। তিনি আমাদের ফাউন্ডেশনে এক লাখ টাকার চেক দিয়েছেন।’

হিরো আলম আরও বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশন শুধু আমার না, আমরা ৬৪টি জেলা থেকে লোক নেব। দেশ-বিদেশের সবাইকে আমি পাশে চাই। সবার সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে চাই। যাতে এই ফাউন্ডেশন থেকে কোনো কাজ করতে গিয়ে বদনামের ভাগিদার হতে না হয়। স্বচ্ছ জবাবদিহিতা থাকবে। কেউ যেন বলতে না পারে টাকা মেরে খেয়েছি।’

এ সময় খান ডটকম ওভারসিস লিমিটেডের এমডি কাশেম খান বলেন, ‘আমি হিরো আলমের ফাউন্ডেশনে প্রথম এক লাখ টাকার একটি চেক দিয়ে সহযোগিতা করছি। সারা দেশের মানুষের পাশে হিরো আলম দাঁড়িয়েছে, তাই আমি এই এক লাখ টাকা দিয়ে তাকে উদ্বুদ্ধ করলাম। তার পাশে দাঁড়ালাম।’

এদিকে হিরো আলমের ফাউন্ডেশনে রোগী আনা-নেওয়ার জন্য খুব শিগগির একটি অ্যাম্বুলেন্সও যুক্ত হতে চলেছে। সম্প্রতি তিনি হবিগঞ্জের এক শিক্ষকের কাছ থেকে একটি পুরোনো মাইক্রোবাস উপহার পান। সেটিকেই বগুড়ার একটি ওয়ার্কশপে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ চলছে। সেই কাজ হিরো আলমকে ফ্রিতে করে দিচ্ছে ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচন। এই দুই আসনেই একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এর মধ্যে সদর আসনে বড় ব্যবধানে হেরে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয় এবং বগুড়া-৪ আসনে হারেন মাত্র ৮৩৪ ভোটে।

এই উপনির্বাচনের আগের দিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের শিক্ষক মখলেছুর রহমান ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে তার ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। সপ্তাহখানেক আগে হবিগঞ্জ গিয়ে গাড়িটি নিয়ে আসেন হিরো আলম।

কিন্তু গাড়িটির কাগজপত্র ঠিক নেই এবং সেটির সরকারি করও বকেয়া প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া গাড়িটি রাস্তায় চলাচলের জন্যও অনুপযুক্ত। তাই গাড়িটি আনার পরই সেটিকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন হিরো আলম। এও জানিয়েছিলেন, এই অ্যাম্বুলেন্স দিয়েই শুরু হবে তার ফাউন্ডেশনের কাজ।

তারই অংশ হিসেবে এ সপ্তাহের শুরুতে গাড়িটি বগুড়া শহরের বকশীবাজার এলাকার ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের একটি ওয়ার্কশপে নেওয়া হয়। এরপর সেই ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষ হিরো আলমকে জানান, তারা গাড়িটি সম্পূর্ণ বিনা খরচে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে দেবেন। হিরো আলমও তা সানন্দে মেনে নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :