লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ মার্চ ২০২৩, ২২:৩৭

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম, জাকির হোসেন ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহত তিন পুলিশসহ পাঁচজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তিসহ ও অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এই ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শিপন খলিফা, ইব্রাহিম খলিল, ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব, রিয়াজ হোসেন ও ইদ্রিস হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কামাল হোসেন ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সোলাইমান-লিটন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে বাজারে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তোজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ মার্চ চন্দ্রগঞ্জ থানায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন। এই প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয় কামাল হোসেনকে। এই কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আফজাল রোডের মুখে একটি আনন্দ মিছিল বের করে কামাল হোসেন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন পক্ষের লোকজন।

এর আগে এই প্রস্তুতি কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে বাজারের নিউমাকের্টের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবিদার কাজী সোলাইমান ও লিটন পক্ষের লোকজন। এর জের ধরে কাজী সোলাইমান ও লিটন গ্রুপের লোকজন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল হোসেন গ্রুপের হামলা করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম,জাকির হোসেন ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শিপন খলিফা, ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব,রাসেল হোসেন, রাজু আহেমদ, সুমন হোসেন ও রাজিব হোসেনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহত তিন পুলিশসহ ৫জনকে সদর হাসপাতাল ও অন্যদের প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে কাজী সোলাইমান ও লিটন নিজেদের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক দাবি করে বলেন, কমিটি বাতিল না করে গোপনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এই কমিটি কোন নেতাকর্মী মেনে নেয়নি এবং নিবে না। এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও কামাল হোসেন পরিকল্পিতভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।

অপরদিকে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল হোসেন বলেন, বিনা উস্কানিতে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আনন্দ মিছিলে কাজী সোলাইমান ও লিটনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, কমিটি নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত হয়েছে ১৫ জন। এ ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাজারে কেউ আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :