মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা করতে না পারা আ.লীগের ব্যর্থতা: গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৪:২৪

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও ৩০ লাখ শহীদের ত্যাগের প্রতি তাদের কোনো সম্মান নেই। যদি থাকতো তবে শহীদের তালিকা তৈরি করতো।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় একক নেতৃত্বের কথা বলে। অন্যদের ত্যাগ স্বীকার করে না। তারা এখন পর্যন্ত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ হলো শহীদের তালিকা তৈরি করতে না পারা।’

রাশেদ খান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তরুণদের রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও, জাতীয় সংসদে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণের সুযোগ কম।’

‘তরুণদের সামনে এগিয়ে দিতে হবে, দেশকে দুর্নীতি, ঘুষ, গুম, খুন মুক্ত করতে হবে। প্রশাসনকে আজকে দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটচুরির সংবাদ আজকে বিশ্ব গণমাধ্যমে পর্যন্ত আসে। যা আমাদের মাথা নত করে দেয়।’

রাশেদ খান আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তারা আরেকটি পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। আমরা এইবার ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দিব না। এইবার এসপার-ওসপার।’

‘স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার, দেশ হবে জনতার, রুখতে হবে স্বৈরাচার। স্বৈরাচারের পতনে আরেকবার রক্ত ও জীবন দিতে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সংগ্রামের মাধ্যমেই অতীতে আইয়ূব, ইয়াহিয়া, এরশাদ, ফখরুদ্দীন, মঈনুদ্দিনের পতন হয়েছে। এই সরকারকেও গণবিপ্লব করে বিদায় জানাতে হবে।’

আওয়ামী লীগ আবার বিদেশিদের বাড়িতে বাড়িতে নৈশভোজ খাওয়া শুরু করেছে মন্তব্য বরে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সোজা কথা ক্ষমতায় থাকতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নিব না। আগামীতে কে ক্ষমতায় আসবে, সেটি নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। বাংলাদেশে ভিনদেশী তাঁবেদার সরকার আসতে দেওয়া হবে না।’

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, আমরা একাত্তরে খাতা কলমে স্বাধীনতা পেলেও প্রকৃত স্বাধীনতা এখনো পাইনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্রগুলোর ছিটেফোঁটাও আজকের এই বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলগুলো।’

‘আমরা গণঅধিকার পরিষদ ক্ষমতায় গেলে সবার আগে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করবো। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠাকেই গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দেশের মানুষকে গণঅধিকার পরিষদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই।’

দলটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘যে জাতি স্বাধীনতার শিকলে পরাধীন থাকতে চায় তাদের জন্য স্বাধীনতার কোনো শুভেচ্ছা হতে পারে না। নিরবে ভোট ও ভাতের অধিকার বিলিয়ে দিয়ে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শিকলবন্দী এই জাতি। গণ অধিকার পরিষদ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শিকল ভেঙে এই জাতিকে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ ফিরিয়ে দিবে এটাই আমাদের এই স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার।’

এসময় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক পাঠান আজহার, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফুল্লাহ হায়দার, জিলু খান, সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা জেলার আহবায়ক এডভোকেট শওকত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান ও বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/জেবি/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :