পশ্চিমা চাপের কারণে বেলারুশ রাশিয়ার পরমাণুজিম্মি
অভূতপূর্ব পশ্চিমা চাপের কারণে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র হোস্ট করতে বাধ্য হতে হয়েছে। তবে এই মোতায়েন আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। মঙ্গলবার রাশিয়ার পরমাণু জিম্মি হওয়ার বিষয়ে এমনটাই বলেছে বেলারুশ। খবর এএফপির।
সপ্তাহান্তে পশ্চিমাদের নিন্দা করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কো-মিত্র দেশটিতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। মিনস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বেলারুশ তার নিজস্ব নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে সাড়া দিতে বাধ্য হয়েছে।’
দেশটি আরও জানিয়েছে, মিনস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের ‘অভূতপূর্ব’ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের শিকার হয়েছে। অস্ত্রের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং তাদের মোতায়েন ‘কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অপ্রসারণ চুক্তি লঙ্ঘন করে না।’
গত বছর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর আক্রমণের জন্য মিনস্ক রাশিয়াকে তার অঞ্চলটি লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। দুই দেশ তখন থেকে বেলারুশিয়ান ভূখণ্ডে সামরিক মহড়া করেছে এবং তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বেলারুশ এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে পরিচালিত হয়।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দোরগোড়ায় পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের পুতিনের পরিকল্পনা মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার আহ্বানের সূত্রপাত করেছে।
পুতিন ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর পর থেকে পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো রুশ হামলা সম্ভবত ‘কৌশলগত’ উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্রের বিপরীতে ‘কৌশলগত’ ছোট আকারের যুদ্ধক্ষেত্রের অস্ত্রগুলিকে জড়িত করবে।
কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশ শাসন করেছেন। পশ্চিম মিনস্ককে রাজনৈতিক মতবিরোধের বিরুদ্ধে তার ক্র্যাকডাউন এবং ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আক্রমণের জন্য একটি স্প্রিংবোর্ড হিসেবে তার ভূমিকার জন্য একাধিক দফা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে আঘাত করেছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এসএটি)