সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ১৩
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের সংখ্যা তেরোতে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহত ১৩ বাংলাদেশি হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহীদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা, নোয়াখালীর মো. হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মো. আসিফ ও মোহাম্মদ হোসেন, গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের রুকু মিয়া, কক্সবাজার মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার গিয়াস হামিদ, যশোরের মোহাম্মদ নাজমুল ও রনি।
পবিত্র মক্কা নগরীতে যাওয়ার পথে ওমরাযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ২২ জন নিহত হওয়ার খব র পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১৩ জনই বাংলাদেশি। এ ঘটনায় বাসের বাকি যাত্রীরা আহত হয়েছেন। যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে আল আখবারিয়া চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আরিফুজ্জামানসহ দুজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। ওই বাসে মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
দুই দিন আগেই সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওমরাহ পালন শেষে মদিনা থেকে পৌনে পাঁচশ কিলোমিটার দূরে কর্মস্থলে ফেরার পথে তাদের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসাইনের (৪৫) বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে। দুর্ঘটনায় নিহত অন্যজনের নাম সাগর জোমাদ্দার। তার বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে। সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশে মোজাম্মেল হোসাইনের রেস্টুরেন্টে কাজে যোগ দিতে দুই বছর আগে দেশ ছেড়েছিলেন সাগর। তিনি সম্পর্কে মোজাম্মেলের শ্যালক।
(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এফএ)